বরযাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে সারারাত হেঁটে বিয়ের মণ্ডপে পৌঁছলেন বর
বরের সাজে এক যুবক সারারাত ধরে হাঁটলেন। সঙ্গে ছিলেন বরযাত্রীরাও। যার মধ্যে মহিলারাও ছিলেন। সারারাত হেঁটে অবশেষে বিয়ের মণ্ডপে পৌঁছলেন সকলে।
বর বেশে যে কাউকেই বাড়ির বাইরে এক পাও হাঁটতে দেওয়া হয়না। অনেক পরিবারে কনের বাড়ি থেকেই গাড়ি পাঠানো হয়। আবার অনেক জায়গায় বরপক্ষের তরফে বরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি বা ঘোড়ার বন্দোবস্ত রাখা হয়।
সেখানে এক যুবক বর বেশে প্রায় ২৮ কিলোমিটার হেঁটে পৌঁছলেন বিয়ে করতে। সঙ্গে গেলেন বরযাত্রীরাও। যে তালিকায় মহিলারাও ছিলেন।
গয়না পরে বিয়ের সাজে মহিলারা পথ হাঁটলেন। তাও জনবহুল পথ ধরে নয়, নিঝুম রাতের রাস্তা ধরে হাঁটলেন সকলে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় হুহু করে ছড়িয়ে পড়ে।
এখন প্রশ্ন হল বিয়ে করতে যাওয়ার জন্য একটা গাড়ির ব্যবস্থা হল না কেন? অর্থাভাব নাকি অন্য কোনও কারণ? কারণ গাড়ির অভাব।
ওড়িশা জুড়ে বাণিজ্যিক গাড়ির ধর্মঘট চলছিল। তাই বরপক্ষের তরফে অনেক চেষ্টা করেও একটা গাড়ি জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। যাতে করে ওই যুবক বিয়ে করতে যেতে পারেন। টাকা দিতে চাইলেও রাজি হননি কোনও গাড়িচালক।
এদিকে বিয়ের সব ঠিকঠাক। তাই বর স্থির করেন তিনি সুনাখান্দি পঞ্চায়েতের আওতায় তাঁর বসতবাড়ি থেকে হেঁটেই কনের গ্রাম দিবালাপাডুতে যাবেন। সারারাত হেঁটে বর ও বরযাত্রীরা ওই ২৮ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন।
পরদিন বিয়ে হয় ওই যুবকের। কনের বাড়িতেই তারপর তিনি অপেক্ষায় ছিলেন একটি গাড়ি ভাড়ার জন্য। এরমধ্যেই অবশ্য গাড়ির ধর্মঘটও প্রত্যাহার হয়। কিন্তু বিয়ে করতে এভাবে সারারাত হেঁটে এক যুবকের কনের বাড়িতে পৌঁছনোর ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি।