অত দূর যাবনা, কনের কান্নায় পেট্রলপাম্পেই শেষ দেখা সদ্যবিবাহিত বরবধূর
পেট্রলপাম্পে পৌঁছতেই ইতি পড়ল একটি সদ্যবিবাহিত জীবনে। এক কনের কান্নায় শেষপর্যন্ত আর বিয়ে করে কনে নিয়ে বাড়ি ফেরা হল না বরের।
বরের কোনও অভ্যাস নিয়ে কনের আপত্তি ছিলনা। ছিলনা বর নিয়েও। বরং পছন্দই হয়েছিল বরকে। কনেকেও পছন্দ করে বিয়ে করেছিলেন যুবক। সহজ কথায় ২ জনের সহমতের ভিত্তিতেই বিয়েটা হয়েছিল।
ধুমধামে কোনও ত্রুটি ছিলনা কনেপক্ষের তরফ থেকে। বিয়ের পর খুশি মনেই বাপের বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে বরের হাত ধরে কনে চলেছিলেন শ্বশুরবাড়ি। বরযাত্রীরা যে বাসে এসেছিলেন সেই বাসেই বরকনে ফিরছিলেন বরের বাড়ি।
পথে একটি পেট্রলপাম্পে দাঁড়ায় বাসটি। ততক্ষণে ৭ ঘণ্টা সফর করা হয়ে গেছে। সকলে দেখেন পেট্রলপাম্পে দাঁড়ানো বাসে বসে কেঁদে চলেছেন কনে।
প্রথমে মনে হয়েছিল পিতৃগৃহের জন্য মন খারাপ। পড়ে দেখা যায় সেসব নয়। কনে এতদূরে যাবেননা। তিনি ততক্ষণে পুলিশেও খবর দিয়ে দিয়েছেন।
কনের ফোনে পুলিশ এসে হাজির হয় কানপুরের কাছে ওই পেট্রলপাম্পে। সেখানে কনে জানান, বিয়ের সময় তাঁকে বরপক্ষের তরফে জানানো হয় তারা বারাণসীর বাসিন্দা। কিন্তু এখন তারা রাজস্থানের বিকানেরে যাচ্ছে। সেখানেই তাদের বাড়ি। তিনি অত দূরে গিয়ে শ্বশুরঘর করতে পারবেননা।
যদিও বর পাল্টা দাবি করেন, কনের বাড়ির লোকজন সবই জানতেন তাঁরা কোথায় থাকেন। পুলিশ কনের মাকে ফোন করে। কনের মা দাবি করেন বর যে রাজস্থানের বাসিন্দা তা তাঁদের জানানো হয়নি।
এসব ডামাডোলের মধ্যে পুলিশ অবশেষে কনেকে তাঁর বারাণসীর বাড়িতে ফেরত পাঠায়। বরকে বিয়ে করেও খালি হাতেই রাজস্থানে ফিরে যেতে হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা