এবার অঙ্কের সিলেবাসে নতুন সংযোজন, শিখতে পিছিয়ে যেতে হবে প্রাচীনযুগে
স্কুল স্তর থেকেই ছাত্রছাত্রীদের অঙ্কের সঙ্গে পচিয় হয়। তারপর উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যাঁরা বিজ্ঞানভিত্তিক পড়াশোনাকে বেছে নেন তাঁদেরও অঙ্ক করতে হয়। সেখানেই এবার নতুন সংযোজন।
স্কুলজীবনে অঙ্কের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারপর উঁচু ক্লাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অঙ্কের সিলেবাসও বদলাতে থাকে। তবে এতদিন উচ্চশিক্ষার স্তরে যে অঙ্ক সিলেবাসের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের পরিচয় হয়ে এসেছে তাতে নতুন সংযোজন হতে চলেছে। যার মূল ভিত্তি দাঁড়িয়ে আছে প্রাচীনযুগে।
এই সিলেবাস অবশ্য স্কুল স্তরের জন্য নয়। বিভিন্ন আইআইটি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের এই নতুন সিলেবাসও আগামী দিনে রপ্ত করতে হবে। এজন্য বৈদিক যুগের সময়কে বেছে নেওয়া হয়েছে।
সিলেবাসে যুক্ত হতে পারে বৈদিক যুগের অঙ্ক। এই নতুন সংযোজন কিন্তু উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়। বৈদিক যুগে যে অঙ্ক চর্চা হত তাই এবার সিলেবাসে জায়গা পেতে চলেছে। যা রপ্ত করে পরীক্ষা দিতে হবে ছাত্রছাত্রীদের।
শুধু অঙ্ক বলেই নয়, অঙ্কের সঙ্গে সঙ্গে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ভারতীয় দর্শন, ভারতীয় নান্দনিকতা, বিজ্ঞান এবং সংস্কৃত পাঠও আবশ্যিক হতে চলেছে।
বৈদিক অঙ্কের বিশেষজ্ঞ একে ত্রিপাঠি বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে জানান, বৈদিক অঙ্কের সিলেবাস মূলত দাঁড়িয়ে থাকবে বৈদিক যুগের অঙ্কের ফর্মুলার ওপর। যা সহজবোধ্যও।
এগুলি রপ্ত করতে পারলে অনেক গণনাই খুব সহজে এবং মুখে মুখে করা সম্ভব হবে। এই ফর্মুলা পাটিগণিত, বীজগণিত, জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি, অ্যাস্ট্রোনমি, ইন্টেগ্রাল এবং ডিফারেন্সিয়াল ক্যালকুলাসের কাজে লাগবে।
সিলেবাসে এগুলির সংযোজন নিয়ে ইতিমধ্যেই ইউজিসি-র তরফে বিভিন্ন আইআইটি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে মতামত চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন কলেজের প্রিন্সিপালের কাছেও এই সংক্রান্ত মতামত চাওয়া হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা