৫ মাস ধরে স্কুলে না গিয়েও মাইনে পেয়ে গেলেন শিক্ষিকা, দেখানো হত উপস্থিত
৫ মাস হয়ে গেল তিনি স্কুলে যাননি। স্কুলে তো যাননি, এমনকি রাজ্যেই ছিলেননা। তা সত্ত্বেও তিনি মাইনে পেয়ে গেলেন টানা। ধরা পড়তেই সব জারিজুরি শেষ।
তিনি একটি স্কুলে পড়ান। সেই স্কুল থেকে ডেপুটেশনে তাঁকে অন্য একটি স্কুলে পাঠানো হয়েছিল। সেই স্কুলেই তাঁর ক্লাস নেওয়ার কথা। সেই স্কুলে কিন্তু তিনি যেতেন না। পড়ানো তো দূরের কথা।
সেইমত তিনি যে স্কুলে অনুপস্থিত থাকেন সেই প্রামাণ্য দলিল সহ কাগজ ওই শিক্ষিকার প্রধান স্কুলে পাঠিয়ে দিতেন এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। কিন্তু তার পরই হত আসল খেলা। অন্তত এমনই বলছেন শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।
ওই শিক্ষিকা সম্বন্ধে রিপোর্ট কয়েকদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল যে মাসের পর মাস তিনি স্কুলে যান না। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ব্লক এডুকেশন অফিসার স্কুলে পরিদর্শনে যান।
সেখানে কাগজপত্র দেখে, কথাবার্তা বলে তিনি জানতে পারেন ৫ মাস ধরে ওই শিক্ষিকা স্কুলটিতে আসেননি। আরও খোঁজ করতে গিয়ে জানা যায় ৫ মাস ধরে তিনি গুজরাটে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছেন।
তাই বিহারের খাগারিয়া জেলার যে স্কুলে তিনি ডেপুটেশনে এসেছেন সেখানে পড়াতে আসার প্রশ্নই নেই। তাহলে তিনি প্রতিমাসে মাইনে পাচ্ছেন কীভাবে? সেটা খতিয়ে দেখতে গিয়ে শিক্ষা আধিকারিকদের মাথায় হাত।
তাঁরা খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখেন ভাদাস গ্রামের যে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সীমা কুমারী নামে ওই শিক্ষিকাকে ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছিল সেই স্কুলে ডেপুটেশনে পাঠানো স্কুল থেকে প্রতি মাসেই কাগজপত্র আসত। যাতে পরিস্কার উল্লেখ থাকত সীমা কুমারী সারা মাস অনুপস্থিত ছিলেন।
সেই কাগজ পাওয়ার পর সীমা কুমারীর প্রধান স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিকাশ কুমার সেগুলি বদলে ওই শিক্ষিকা সারা মাস উপস্থিত এই মর্মে কাগজ পাঠিয়ে দিতেন। সীমাকে উপস্থিত করে দিতেন।
যা দেখার পর সীমা কুমারীর মাইনেও সময়মত পাঠিয়ে দেওয়া হত। সব ধরা পড়ার পর এখন সীমা কুমারী ও বিকাশ কুমারের মাইনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা