বিদেশিদের হুল ফুটিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে আনল মৌমাছিরা
বিদেশ থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকদের দিকে ঝাঁক বেঁধে তেড়ে গিয়েছিল তারা। কিন্তু বুঝতে পারেনি যে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনল।
বিদেশ থেকে ভারতে বহু পর্যটক ঘুরতে আসেন সারা বছর। বহু পর্যটক দিল্লি আগ্রার ঐতিহাসিক স্থানগুলি ঘুরে দেখেন। ফ্রান্স থেকে আসা ৬ জন পর্যটকের এমনই একটি দল ঘুরছিল ফতেপুর সিক্রি-তে।
পর্যটকরা আগ্রা গেট থেকে দিওয়ান-ই-আম-এর দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেইসময় আচমকা তাঁদের দিকে তেড়ে আসে মৌমাছিদের একটি ঝাঁক। ছেঁকে ধরে ৬ ফরাসি পর্যটককে। যথেচ্ছ হুল বিঁধিয়ে দিতে থাকে তাঁদের শরীরে।
মৌমাছির হুল ফোটার যন্ত্রণায় কাতরে ওঠেন ৬ জন। তাঁদের দ্রুত ফতেপুর সিক্রির স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা হয়।
এই ঘটনার পর ফতেপুর সিক্রির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এএসআই আধিকারিকরা নড়েচড়ে বসেছেন। কেন এমন আক্রমণ?
উত্তরে এএসআই আধিকারিকরা মনে করছেন ফতেপুর সিক্রির ঐতিহাসিক স্থাপত্য জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে মৌচাক। সেখানে প্রচুর মৌমাছি রয়েছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে কোনও কারণে মৌমাছিরা ওই পর্যটকদের আক্রমণ করে।
এএসআই জানিয়েছে, এভাবে মৌচাক বাড়তে দেওয়া আর যাবেনা। তারা এবার ফতেপুর সিক্রিকে মৌচাক মুক্ত করার পথে পা দিচ্ছে। সেজন্য যা করার তা করা হবে বলেও স্থির করেছে এএসআই।
ফলে ভিটেহারা হতে চলেছে হাজার হাজার মৌমাছি। কারণ তাদের মৌচাক ভাঙা পড়তে চলেছে। বিদেশি পর্যটকদের আক্রমণ করে তাদের নিজেদের বিপদ তারা নিজেরাই ডেকে আনল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা