লকডাউনে ঘরে ফেরার হাত ধরে গ্রাম বদলে গেল কলাবাগানে
কথায় বলে কোনও ধ্বংস নতুন কিছু গড়ার স্বপ্ন দেখায়। এমনটা বাস্তবেই হল। লকডাউনে ঘরে ফেরা গ্রামকে বদলে দিল কলাবাগানে।
লকডাউন ঘোষণা বহু মানুষকে রাতারাতি অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছিল। বহু মানুষ নিজেদের কাজ ছেড়ে বাড়িতে বসে যেতে বাধ্য হন। বহু মানুষ অন্যত্র রোজগারে গেলেও লকডাউনের জন্য বাড়ি ফিরে আসেন। তারপর অফুরন্ত সময়। কাজ নেই।
তেমনই ঘটেছিল এক তরুণের সঙ্গে। লকডাউন ঘোষণার পর তিনি ফিরে আসেন নিজের গ্রামে। তারপর সারাদিনে শুধু সময়ই সময়। এভাবে বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে ওই তরুণ কি করবেন ভাবতে থাকেন।
কৃষিবিজ্ঞান নিয়ে স্নাতকোত্তর করা অভিষেক স্থির করেন তিনি গ্রামকেই কাজে লাগাবেন। তাঁর পড়াশোনার জ্ঞান এবং স্থানীয় হর্টিকালচার বিভাগের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তিনি তাঁর গ্রামেই কলা চাষে জোর দিতে থাকেন। গ্রামবাসীদেরও উৎসাহ দেন। কলার ফলন বাড়াতে গ্রাম জুড়েই আধুনিক উপায়ে চাষে জোর দেন। যার ফল মেলে হাতেনাতে।
বিহারের সীতামঢ়ী জেলার মাজোরগঞ্জ ব্লকের খাইরওয়া গ্রাম খুব দ্রুত কলাবাগানের চেহারা নেয়। গ্রাম জুড়ে কেবল কলা চাষ করতে থাকেন সকলে। আর কলাও হতে থাকে কৃষকের মন ভাল করে দিয়ে। কার্যত কলার হাবে পরিণত হয় গ্রামটি।
এখানেই না থেমে অভিষেক আনন্দ নামে ওই তরুণ কলার চিপসের প্লান্টও বসিয়ে ফেলেন গ্রামে। এত কলা যেখানে পাওয়া যাচ্ছে সেখানে কলার চিপস অনেক কম খরচে উৎপাদন করা যাবে। আর বাজারে কলার চিপসের চাহিদাও খুব।
সেটাই কাজে লাগিয়ে ফেলেন অভিষেক। এখন এই গ্রামে স্রেফ কলা চাষের জোরে সকলের মুখে হাসি ফুটেছে। ঘরে আসছে যথেষ্ট মুনাফা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা