এক ব্যক্তি সেনা পরিচয়ে তাঁর সঙ্গে যা করল তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি মহিলা মনোবিদ
এমনটা যে তাঁর সঙ্গে ঘটবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি এক মহিলা মনোবিদ। সেনা আধিকারিক পরিচয়ে এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে এমন কাণ্ডটাই করল।
একটা ফোন এসেছিল তাঁর কাছে। তিনি পেশায় একজন মনোবিদ। তাই তাঁর কাছে রোগী বা রোগীর আত্মীয়দের ফোন এসে থাকে। তাই ফোন ধরে কথা বলেন ওই মহিলা মনোবিদ।
ওপার থেকে তাঁকে ফোনে জানানো হয় যে কথা বলছে সে একজন সেনা আধিকারিক। সে চায় ওই মহিলা মনোবিদ তার অধস্তন ৪৫ জন সেনাকর্মীকে সাইকোলজিক্যাল পরীক্ষা নিন। সে জন্য সে ওই মনোবিদকে অর্থও প্রদান করবে।
সব শোনার পর ওই মনোবিদ না করেননি। বরং প্রস্তাবে রাজি হন। তাঁর কাজই মানুষের মনের চিকিৎসা বা তার পরীক্ষা। তাঁর কাজই তো তাঁকে করতে বলা হচ্ছে।
ওই মহিলা মনোবিদকে অনলাইনে টাকা পাঠানোর কথা জানায় ওই ব্যক্তি। এও জানায় যে ওই মনোবিদ যেন তাকে পেটিএম ইউপিআই মারফত ১ টাকা পাঠান। সেই ১ টাকাও পাঠান ওই মনোবিদ। তারপর তাঁকে কাছে ২ টাকা আসে।
এবার ওই মনোবিদকে ২ টাকা পাঠায় ওই ব্যক্তি। মনোবিদ দেখেন তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ টাকা ঢুকেছে। কিন্তু তার কিছুটা সময় পরই দেখা যায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩০ হাজার টাকা কাটা হয়েছে।
কিন্তু তিনি তো কাউকে টাকা দেননি। তাহলে কাটা হল কেন টাকা? খোঁজ করতে গিয়ে ওই মহিলা মনোবিদ বুঝতে পারেন যে তিনি জালিয়াতির শিকার হয়েছেন।
লখনউ শহরের বাসিন্দা ওই মহিলা দ্রুত পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা