কামুক মানুষের বিকৃতি যে কোন পর্যায়ে পৌঁছতে পারে তার ভয়ংকর উদাহরণ হয়ে রইল দিল্লির একটি ঘটনা। ঘটনাটি সামনে আসার পর থেকেই পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি সোচ্চার। সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে রাতে মদ্যপ অবস্থায় দিল্লির নারায়াণা এলাকার বাসিন্দা পেশায় ট্যাক্সিচালক বছর ৩৪-এর নরেশ কুমার পাড়ায় ফেরে। পাড়ায় একটি মাদী কুকুর সকলের প্রিয়। তাকে রাস্তায় ঘুরতে দেখে সে। কুকুরটিকে কাছে ডেকে তাকে ধর্ষণ করে নরেশ কুমার। এমন ঘটনার পর যৌনাঙ্গ দিয়ে প্রবল রক্তপাতে মৃত্যু হয় কুকুরটির। বেগতিক বুঝে একটি থলিতে পুরে মৃত কুকুরটিকে কিছুটা দূরে ফেলেও আসে নরেশ কুমার।
পাড়ার চেনা কুকুর আচমকা ভ্যানিস হওয়ায় খোঁজ পড়ে। সন্দেহ হওয়ায় পাড়ার লোকজনই নরেশকে চেপে ধরতে সে সবকিছু স্বীকার করে নেয়। উদ্ধার হয় কুকুরটি। এক পশুপ্রেমীর চেষ্টায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। কুকুরটির ময়না তদন্তও হয়। ময়নাতদন্তে ধর্ষণের বিষয়টি পরিস্কার হয়। চিকিৎসকরা জানান, ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গ দিয়ে অতিরিক্ত রক্তপাতেই মৃত্যু হয় কুকুরটির।
যদিও পুলিশের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষের অভিযোগ বিষয়টিকে বড় একটা গুরুত্ব দিতে চাইছে না পুলিশ। অভিযুক্ত নরেশ কুমারকে গ্রেফতারও করা হয়নি। এদিকে দুই মেয়ের পিতা নরেশ কুমারের স্ত্রী দাবি করেছেন তাঁর স্বামী সত্যিই বিকৃতকাম এবং অত্যাচারী মানুষ।