ঢালাও সংস্কৃত স্কুল, খুলছে নতুন পঠনপাঠনের পথ
ঢালাও সংস্কৃত স্কুলের পথে হাঁটা শুরু হল। রাজ্য স্তর থেকে তা দেশে ছড়িয়ে পড়তে সময় নেবে না বলেই মনে করছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।
ভারতের আদি ভাষা হিসাবে সংস্কৃতের কদর প্রশ্নাতীত। কিন্তু সেই ভাষায় স্কুলের পঠনপাঠন নিয়ে ভাবনাচিন্তা বিশেষ হয়নি। বরং আঞ্চলিক ভাষা বা ইংরাজিতেই পড়াশোনা এগিয়েছে। স্কুলে স্কুলে সেই ভাষাতেই পড়ানো হয়েছে এবং হচ্ছে।
কিন্তু এবার সেই পঠনপাঠনের ভাষায় ঢুকে পড়তে চলেছে সংস্কৃত। এমন নয় যে দেশে কোথাও সংস্কৃত ভাষায় পড়ানোর স্কুল ছিলনা। কিন্তু তা হাতে গোনা।
এবার একটি রাজ্য এগিয়ে এল ঢালাও সংস্কৃত স্কুল তৈরির পথে। যা হয়তো অন্য রাজ্যের জন্যও একটা বার্তা হতে চলেছে।
উত্তরপ্রদেশের ১০ জেলায় সরকারের তরফ থেকে সংস্কৃত স্কুল তৈরির উদ্যোগ শুরু হয়েছে। বারাণসী, রায়বরেলি, সাহারানপুর, মুজফ্ফরনগর, মোরাদাবাদ, শামলি, জালাউন, এটা, আমেঠি এবং হরদোই, এই ১০ জেলাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এখানেই একাধিক সংস্কৃত স্কুল গড়ে তুলতে চলেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এই ১০ জেলার পর অন্য জেলাতেও সংস্কৃত ভাষায় পড়ানোর স্কুল তৈরি করা হবে। আপাতত এই উদ্যোগ সফল করতে ১০০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দও পেয়েছে শিক্ষা দফতর।
এই সংস্কৃত স্কুলে পড়ানোর ভাষা হবে সংস্কৃত। তবে সিলেবাসে কোনও পরিবর্তন সেজন্য হবে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
তবে ছাত্রছাত্রীরা চাইলে সংস্কৃত ভাষায় পড়ার সুযোগ এই স্কুলে পাবে। উত্তরপ্রদেশে এতদিন ১টি মাত্র সরকারি সংস্কৃত স্কুল ছিল। এবার তার সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পেতে চলেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা