শৌচকর্ম করা আর হল না, শৌচাগারে ঢুকে এক লাফে বেরিয়ে এলেন গৃহকর্তা
সকালে শৌচকর্ম করতে শৌচাগারে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু শৌচাগারে ঢুকে কি করতে ঢুকেছিলেন সেসব ভুলে এক লাফে বাইরে বেরিয়ে এলেন গৃহকর্তা।
সকালের দিকে তিনি শৌচকর্ম সারতে বাড়ির শৌচাগারে প্রবেশ করেন। অন্যদিনের মত শৌচকর্ম সারতে যাবেন, এমন সময় নজর গেল একটি কোণে। যা দেখলেন তারপর আর শৌচকর্ম করা তাঁর হয়নি। বরং এক লাফে বাইরে বেরিয়ে এলেন তিনি। তারপর খবর দিলেন বাড়ির অন্যদের এবং পড়শিদের।
বিষয়টি জানার পর পুরো গ্রাম জুড়ে হইচই পড়ে যায়। দ্রুত খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। বন দফতরের তরফে আবার ওয়াইল্ড লাইফ এসওএস নামে একটি এনজিওর সাহায্য চাওয়া হয়।
ওই সংস্থার কর্মীরা ওই টয়লেট বা শৌচাগারের সামনে হাজির হন। দেখেন ছোট শৌচাগারের এক কোণায় ঘাপটি দিয়ে বসে আছে একটি বিশাল কুমির।
৭ ফুট লম্বা সেই কুমিরকে ওই শৌচাগার থেকে বার করাটাই ছিল একটা চ্যালেঞ্জ। কারণ কুমিরকে কাবু করার মত জায়গা শৌচাগারে ছিলনা। এবার কেউ ঢুকলে যদি কুমির আক্রমণ করে তাহলে পালাবার পথ নেই।
ফলে অনেক ভেবেচিন্তে তারপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরিকল্পনা সাজানো হয়। তারপর ২ ঘণ্টার চেষ্টায় কুমিরটিকে শৌচাগার থেকে বার করতে সমর্থ হন ওয়াইল্ড লাইফ এসওএস-এর দক্ষ কর্মীরা। তাকে পাকড়াও করে তার জন্য উপযুক্ত প্রকৃতির বুকে ছেড়েও দেন তাঁরা।
মনে করা হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ জেলার নাগলা পাসি গ্রামের কাছের একটি পুকুর থেকে কুমিরটি কোনওভাবে সকলের নজর এড়িয়ে ওই শৌচাগারে ঢুকে পড়েছিল।
যদিও এত বিশাল চেহারার একটি কুমির সকলের নজর এড়িয়ে একটি বাড়িতে প্রবেশ করে তার শৌচাগারেও পৌঁছে গেল কীভাবে তা কিছুটা ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে।
কিন্তু ওই শৌচাগারে ঢুকে যদি কেউ নজর না করে শৌচকর্ম করতে যেতেন তাহলে কিন্তু বড় কোনও অঘটন ঘটে যেতে পারত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা