এই খাজুরাহো এখন আড্ডার জায়গা, নষ্ট হচ্ছে ঐতিহাসিক স্থাপত্য
খাজুরাহো বিখ্যাত তার মন্দিরের গায়ের কামকলার নানা ভঙ্গির শৈল্পিক প্রকাশের জন্য। তেমনই সব ঐতিহাসিক শিল্পের ভাণ্ডার হেলায় পড়ে নষ্ট হচ্ছে এই খাজুরাহোতে।
মধ্যপ্রদেশের অন্যতম দ্রষ্টব্য খাজুরাহো। এখানে একের পর এক মন্দির গাত্রে যে অনন্য শিল্প প্রকাশিত হয় তার মূল বিষয়ই কামকলা। যার বিভিন্ন ভঙ্গি অপরূপ শিল্পের হাত ধরে উদ্ভাসিত হয়েছে খাজুরাহোর মন্দির জুড়ে।
কিন্তু সেই খাজুরাহো ছাড়াও ভারতে আর এক খাজুরাহো রয়েছে। যা বিখ্যাত মিনি খাজুরাহো নামে। সেখানেও মন্দিরের গায়ে এভাবেই কামকলার শৈল্পিক প্রকাশ স্থানটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং পর্যটন আকর্ষণকে বাড়িয়ে তুলেছে।
তবে সেই ঐতিহাসিক স্থাপত্যের মিনি খাজুরাহো এখন অবহেলায় নষ্ট হতে বসেছে। এটি আদপে একটি শিব মন্দির। যা অবস্থিত গঙ্গা ও গণ্ডক নদীর সঙ্গমস্থল বিহারের হাজিপুরের কৌনহারা ঘাটের ধারে।
মন্দির জুড়ে কাঠের শিল্প নিদর্শন নজর কাড়ে। যার মূল বিষয় কামকলা। যে কারণেই একে বিহারের খাজুরাহো বলা হয়। যা মূলত নেপালি স্থাপত্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।
এই ঐতিহাসিক মন্দির কিন্তু এখন অবহেলায় পড়ে থাকে। স্থানীয়রা এখানে বসে আড্ডা দেন, তাস খেলেন। রাতে অনেকে এখানে ঘুমিয়ে থাকেন। সব মিলিয়ে এ মন্দির নষ্ট হতে বসেছে। কোনও রক্ষণাবেক্ষণ নেই। অবহেলায় পড়ে থাকার ফলে তা ক্রমে পর্যটকদের আকর্ষণ হারাচ্ছে।
প্রায় ৫০০ বছর পুরনো এই মন্দিরের গায়ে নারী পুরুষের কামকলার নানা ভঙ্গি বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু সেসব শিল্পের কোনও যত্ন হয়না। স্থানীয়রাও এই মন্দিরের অযত্ন নিয়ে চিন্তিত। তাঁরা মনে করছেন সরকারের উচিত মন্দিরটি রক্ষা করা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা।
এলাকাবাসী এও মনে করছেন যে যদি এই মন্দিরের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ না করা হয় তাহলে অচিরেই এই মন্দিরের অস্তিত্ব কেবল ইতিহাসের পাতাতেই থেকে যাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা