ইঁদুর মারার অভিযোগে কারাদণ্ড হতে পারে এক ব্যক্তির
ইঁদুর মারার অভিযোগে গ্রেফতার। তারপর জামিন। এখন তাঁর বিরুদ্ধে ৩০ পাতার চার্জশিট পেশ হয়েছে। কয়েক বছর জেলেও কাটাতে হতে পারে তাঁকে।
হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ইঁদুর হত্যার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তিনি একটি ইঁদুরের লেজে পাথর বেঁধে দেন। তারপর ইঁদুরটিকে রাস্তার ধারের নর্দমায় ফেলে দেন।
লেজে পাথর বাঁধা থাকায় ইঁদুরটি জল থেকে নিজেকে বাঁচানোর সুযোগ পায়নি। যদিও এক পশুপ্রেমীর দাবি তিনি ওই নর্দমায় নেমে ইঁদুরটিকে বাঁচানোর চেষ্টাও করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ইঁদুরটি মারা যাওয়ার পর বিকেন্দ্র শর্মা নামে ওই পশু অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই চালানো ব্যক্তি ইঁদুরটিকে এভাবে হত্যা করার প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
ইঁদুরটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরেলির ভারতীয় পশু গবেষণা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তে প্রমাণ হয় যে ইঁদুরটি দমবন্ধ হয়ে মারা গেছে।
এই ঘটনার পর অভিযুক্ত মনোজ কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও পরে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩০ পাতার একটি চার্জশিট তৈরি করেছে।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির এই অপরাধের জন্য কারাদণ্ড এবং জরিমানা ২ একসঙ্গে হতে পারে। সেক্ষেত্রে জরিমানার অঙ্ক গোনার পাশাপাশি গারদের পিছনেও কাটাতে হতে পারে অভিযুক্তকে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ-তে। ঘটনাটি গত নভেম্বরে ঘটে। তার চার্জশিট হালেই পেশ করেছে পুলিশ। এখন দেখার অভিযুক্ত মনোজ কুমারকে কি সাজা দেয় আদালত। তবে এই ঘটনা কিন্তু একটা শিক্ষাও। কারণ ভারতে ইঁদুর মারার ঘটনা কম ঘটেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা