সূর্য ডুবলেই ঘরে খিল দিচ্ছেন সকলে, নরখাদকের ভয়ে জারি কার্ফু
সন্ধে নামার অপেক্ষা। তারপরই গ্রামের পর গ্রাম ঢুকে পড়ছে ঘরের মধ্যে। আর বার হওয়া নয়। নরখাদকের ভয়ে গোটা এলাকা জুড়ে কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন।
বিখ্যাত বাঘ শিকারি জিম করবেট যেসব জায়গায় প্রধানত নরখাদক বাঘদের ধাওয়া করতেন, সেই অঞ্চলেই ফের বাঘের আতঙ্ক পেয়ে বসল। এমন অবস্থা হয়েছে যে প্রশাসনের তরফে বিশাল অঞ্চল জুড়ে কার্ফু জারি করতে হয়েছে।
সন্ধে ৭টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কার্ফু জারি থাকছে। এই সময় কারও ঘরের বাইরে বার হওয়া মানা। এক ব্যক্তিকে একটি বাঘ তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই এই আতঙ্ক পেয়ে বসেছে।
উত্তরাখণ্ডের পৌরি গাড়োয়াল জেলার রিখানিখল এবং ধূমাকোট তহসিলের প্রতিটি গ্রামেই কার্ফু জারি থাকছে। এই অঞ্চলেই বাঘের ঘোরাফেরার ইঙ্গিত মিলেছে।
বাঘটি যে চতুর তা নিয়ে সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের। কারণ ২ দিন ধরে তার জন্য খাঁচা পেতে অপেক্ষা করেও ফল হয়নি। আশপাশে ঘুরলেও বাঘ খাঁচা এড়িয়ে যাচ্ছে।
এদিকে মানুষের স্বাদ পাওয়া এ বাঘকে কাবু না করা পর্যন্ত রাতের ঘুম উড়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। একটি মানুষকে যখন সে টেনে নিয়ে গেছে তখন বাঘটি আরও মানুষের ক্ষতি করতে পারে, তাঁদের প্রাণে মারতে পারে বলে আশঙ্কা করেই কার্ফু জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যে ল্যান্সডাউন বিধানসভা এলাকায় এই বাঘের উপদ্রব শুরু হয়েছে সেখানকার বিজেপি বিধায়ক দলীপ রাওয়াতকেও বাঘের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে কিছুদিন আগে।
এদিকে এই নরখাদক বাঘটিকে করবেট ন্যাশনাল পার্কে ঘুরতে দেখা গেছে। কীভাবে তাকে পাকড়াও করা যায় তার একাধিক পরিকল্পনা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা