অধ্যাপনার পেশা ছেড়ে এক তরুণ যে কাজ বাছলেন তা গোটা দেশের বিশ্বাস হচ্ছেনা
এক তরুণ অধ্যাপকের যে চাকরি ছেড়ে এমন এক কাজে নিযুক্ত হওয়ার ইচ্ছা হতে পারে সেটা কারও বিশ্বাস হচ্ছেনা। একরকম পালিয়ে গিয়ে একাজ করেন তিনি।
একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অধ্যাপনার কাজ করছিলেন এক তরুণ। যথেষ্ট সম্মানের কাজ। ওই কলেজেরই হস্টেলে থেকে পড়াতেন তিনি।
কিন্তু অধ্যাপনার কাজে তাঁর মন বসছিল না। আচমকাই একদিন তিনি হস্টেল ছেড়ে বেপাত্তা হয়ে যান। প্রথমে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভেবেছিলেন হয়তো নিজের বাড়িতে কোনও বিশেষ প্রয়োজনে গেছেন ওই তরুণ। কিন্তু বাড়িতে খোঁজ নিতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন যে সেখানে ওই অধ্যাপক যাননি।
এদিকে কলেজের হস্টেলে তিনি নেই জেনে বাড়ির লোকজনও চিন্তায় পড়ে যান। তাঁরা দ্রুত পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। বাড়ির লোকজন পুলিশকে এমন এক তথ্য ওই তরুণ সম্বন্ধে দেন যা পুলিশের কাজটা সহজ করে দেয়।
ওই তরুণের বাড়ির লোকজন জানান এর আগে একবার পালিয়ে গিয়ে এক জায়গায় মাল বাহকের কাজ করছিলেন ওই তরুণ। পুলিশ এই খবর পাওয়ার পর স্থানীয় একটি ফলের বাজারে নজরদারি শুরু করে। সেখানেই ওই তরুণের দেখাও পায় পুলিশ।
পুলিশ আধিকারিকরা দেখেন ওই ফলের বাজারে মাল বাহকের কাজ নিয়েছেন ওই তরুণ। পুলিশ তাঁকে সেখান থেকে বাড়িতে নিয়ে এসে পরিবারের হাতে তুলে দেয়।
ওই তরুণের মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে। অধ্যাপনার কাজ ছেড়ে কেউ শখ করে কুলির কাজ বেছে নিয়েছেন এটা বিশ্বাস করতে পারছেন না অনেকেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা