জেল থেকে জামিন পেতে এখন গাছই ভরসা
জেলে বন্দি অবস্থায় দিন কাটানো অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর এখন পুরোটাই নির্ভর করছে গাছের ওপর। যা এখনও ভাল করে বিশ্বাস করতে পারছেন না বন্দিরা।
জেলে অভিযুক্ত হিসাবেও বন্দি থাকেন মানুষজন। বিচারাধীন বন্দি হয়ে থাকতে হয় তাঁদের। এক্ষেত্রে বিচারপর্ব চলাকালীন তাঁরা জামিনের আবেদনও করেন। জামিন হবে কিনা তা নির্ভর করে আদালতের ওপর।
এই জামিন এবার পেতে গেলে উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর জেলার বিজনৌর জেলের বন্দিদের ভরসা রাখতে হবে গাছের চারার ওপর। কারণ বিজনৌর জেলার এসডিএম একটি নয়া প্রস্তাব দিয়েছেন।
প্রস্তাবে এসডিএম জানিয়েছেন, সিআরপিসি ১০৭, ১১৬ এবং ১৫১ ধারায় অভিযুক্তরা যদি জামিনের আবেদন করেন এবং তা মঞ্জুর হোক এটা চান, তাহলে তাঁদের ৭টি চারা লাগানোর মুচলেকা দিতে হবে।
বন্দিদের নিজেদের বাসস্থানে ৭টি চারাগাছ রোপণ করতে হবে। সেই চারা যে রোপণ তাঁরা করেছেন তার ছবি আদালতে পেশ করতে হবে। এমনকি তাঁদের যে ২ জন গ্যারান্টার থাকবেন, তাঁদেরও ১টি করে চারা গাছ রোপণ বাধ্যতামূলক।
এই সব শর্ত পূরণ হলে তবেই জামিন। জামিন পাওয়ার পর প্রথম শুনানির দিনই আদালতে চারাগাছ রোপণের ছবি পেশ করতে হবে প্রমাণ হিসাবে।
বিজনৌরের এসডিএম মাঙ্গে রাম চৌহান জানিয়েছেন, তিনি এই চারাগাছের শর্ত দেওয়ার কারণ মানুষ গাছ ছাড়া বাঁচতে পারেনা। তাই বৃক্ষরোপণ দরকার।
তবে বিজনৌরেই প্রথম নয়। এই চারাগাছ রোপণের অঙ্গীকারে জামিন মঞ্জুর হওয়ার রীতি মাঙ্গে রাম চৌহান আমরোহা জেলার এসডিএম থাকাকালীনও শুরু করেছিলেন। যাতে কাজও হয়। এমন করে ২০ হাজার গাছের চারা রোপণ করিয়েছেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা