মাছের পিত্তথলি খেয়ে বিপাকে মহিলা
স্থানীয় এক ভুয়ো চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে মাছের পিত্তি বা পিত্তথলি কাঁচা গিলে নিয়েছিলেন মহিলা। তার ফল হল ভয়ংকর।
বেশ কিছুদিন ধরেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তিনি। স্থানীয় এক ভুয়ো চিকিৎসকের কাছে তা সারাতে হাজির হন ৪৮ বছরের ওই মহিলা। ওই ভুয়ো চিকিৎসক তাঁকে পরামর্শ দেয় যে মধুমেহ রোগ বা ডায়াবেটিস চট করে সেরে যাবে যদি তিনি মাছের পিত্তি কাঁচা খেয়ে ফেলতে পারেন। মহিলা বাড়ি ফিরে ওই ব্যক্তির পরামর্শমত একটি রুই মাছ কিনে আনেন বাড়িতে। তারপর মাছ কেটে তার পিত্তিটি বার করে গিলে নেন।
প্রসঙ্গত মাছ কাটার সময় সকলেই বিশেষভাবে নজর রাখেন যাতে মাছের পিত্তিটি না থেকে যায় বা ফেটে গিয়ে মাছের অন্যত্র না লেগে যায়। যা শুধু মাছটিকে তেতোই করেনা, তা শরীরের পক্ষেও ক্ষতিকর। সেই মাছের ফেলে দেওয়া অংশ পিত্তিটিই ওই মহিলা গিলে ফেলেন। তাও কাঁচা।
এরপরই মহিলার পেটের সমস্যা শুরু হয়। দ্রুত তাঁকে অন্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাঁচির শ্রী গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মহিলাকে।
মাছের কাঁচা পিত্তিটি গিলে ফেলায় মহিলার কিডনি নষ্ট হওয়া শুরু হয়ে যায়। বমি হতে থাকে। দ্রুত তাঁর হিমোডায়ালিসিস শুরু হয়। কড়া স্টেরয়েড দিতে থাকেন চিকিৎসকেরা।
কিডনির যে বড় ক্ষতি হয়েছে তাও চিকিৎসকদের কাছে পরিস্কার ছিল। রাঁচির বাসিন্দা ওই মহিলার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটার ২ সপ্তাহ পরে তাঁর কিডনি সারিয়ে চিকিৎসকেরা তাঁকে বাড়ি ফেরত পাঠান।
প্রসঙ্গত ভারতের অনেক জায়গায় মানুষের ধারনা আছে যে মাছের পিত্তি কাঁচা খেলে ডায়াবেটিস বা বাত সেরে যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এভাবে কাঁচা পিত্তি খাওয়া থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এতে শরীরে হিতে বিপরীত হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা