বোর্ডে নাম তোলায় ক্লাস মনিটরের ওপর রাগ মেটাল সহপাঠী, দেখে স্তম্ভিত পুলিশও
ক্লাসের এক ছাত্রকেই মনিটর করা। সেই মনিটর ক্লাসের এক সহপাঠীর নাম তুলেছিল বোর্ডে। সেই রাগ যেভাবে মেটাল ওই সহপাঠী তা দেখে স্তম্ভিত পুলিশও।
পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছোটে পুলিশ। ঘটনাস্থল একটি স্কুলের একদম সামনে। সেখানেই ঘটে ঘটনাটা। পুলিশ জানাচ্ছে, তারা ফোন পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে হাজির হয়। তারপর সেখান থেকে হাসপাতালে গিয়ে সেখানে ভর্তি এক ছাত্রের বয়ান নেয়।
দশম শ্রেণির ওই ছাত্রের দাবি, কয়েকদিন আগেই তাকে ক্লাসের স্যার ক্লাসের মনিটর করে দেন। ক্লাসের মনিটর কি ক্ষমতা ধরে তা সকলের জানা।
ক্লাসে অন্য কোনও সহপাঠী যদি কোনও ভুল বা অন্যায় আচরণ করে তবে তার নাম লিখে রাখা মনিটরের অন্যতম দায়িত্ব। ক্লাস মনিটর ওই ছাত্র এরপর তারই এক সহপাঠীকে ক্লাসে হট্টগোল করতে দেখে তার নাম ব্ল্যাকবোর্ডে লিখে দেয়।
তার নাম ব্ল্যাকবোর্ডে তোলাটা মোটেও ভালভাবে নেয়নি ওই ছাত্র। সে তার অন্য বন্ধুকে সঙ্গে করে স্কুল ছুটির পর ক্লাস মনিটরকে স্কুলের বাইরে দাঁড় করায়। তারপর তার কাঁধে ও পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
আহত ছাত্র জানিয়েছে, নাম তোলার জন্যই তাকে এভাবে ছুরি দিয়ে আঘাত করে তার সহপাঠী। যে ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই ২ ছাত্রকে আটক করে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির টিগরি এলাকায়। সামান্য বোর্ডে নাম তোলাকে কেন্দ্র করে যে কোনও দশম শ্রেণির ছাত্র এই পর্যন্ত যেতে পারে তা দেখে পুলিশও হতবাক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা