গোমূত্র নিয়ে এবার নতুন তথ্য সামনে আনল আইভিআরআই
গোমূত্র নিয়ে গবেষণা করে সে সম্বন্ধে একদম নতুন তথ্য সামনে এনে দিলেন ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এর গবেষকেরা। নিজেদের আগের দাবিকে খণ্ডনও করলেন তাঁরা।
গোমূত্র মানুষের জন্য আশির্বাদ। এমনই দাবি করলেন ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এর গবেষকেরা। এই ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এর গবেষণাই কিছুদিন আগে দাবি করেছিল গোমূত্র মানুষের জন্য ভয়ংকর। তাদের সেই দাবিকে এবার সম্পূর্ণ খণ্ডন করে ৯ জন বিজ্ঞানীর একটি গবেষক দল ৪ বছরের পরিশ্রমের পর জানাল গোমূত্র মানুষের জন্য আশির্বাদ।
গোমূত্রের নির্যাস ওষধি গুণে পরিপূর্ণ। ২ ধরনের গরু সাহিওয়াল এবং থরপারকর-এর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে এই গবেষণা হয়। ১৪টি গোমূত্রের নমুনা সংগ্রহ করেন বিজ্ঞানীরা। তারপর শুরু হয় তা নিয়ে গবেষণা।
এই নমুনা আবার একসঙ্গে সংগ্রহ করা হয়নি। বিভিন্ন মরসুমে গরুর মূত্র নমুনা হিসাবে সংগ্রহ করেন বিজ্ঞানীরা। বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মরসুমের প্রভাব কীভাবে গরুর মূত্রের ওপর পড়ছে তাও বিজ্ঞানীরা খতিয়ে দেখেন।
সবে নির্গত হওয়া গোমূত্রে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ এড়াতে গোমূত্র থেকে নির্যাস বার করে তা পরীক্ষা করা হয়। যা পরীক্ষার পর দেখা যায় তাতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। যা মানুষের শরীরের জন্য উপকারি।
বিজ্ঞানীরা আরও দাবি করেছেন, সাহিওয়াল এবং থরপারকর এই ২ প্রকারের গরুর মূত্রের নির্যাস, ক্রসবিড গরুর মূত্রের নির্যাসের চেয়ে অনেক বেশি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ সম্পন্ন হয়।
২০১৮ সালে এই গবেষণা চালু হয়েছিল। অবশেষে সেই পরীক্ষার ফল সামনে আনলেন ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এর গবেষকেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা