খোলা আকাশের নিচে আর লজ্জা পাওয়া নয়, মহিলাদের জন্য গঙ্গাপারে নতুন সুবিধা
গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে খোলা আকাশের নিচেই পোশাক পরিবর্তন করতে হয় অনেক মহিলাকে। যা তাঁদের জন্য অনেক সময় অত্যন্ত অস্বস্তিকর হয়।
গঙ্গা স্নান শুধুই স্নান নয়, পুণ্য স্নানও। গঙ্গায় স্নান করতে পারলে কেবল দেহ পরিস্কার হয়না, চিত্তশুদ্ধিও হয় বলে বিশ্বাস করেন মানুষজন। এই পুণ্যার্জন আবার আরও বেশি হৃদয় ছুঁয়ে মন ভাল করে পুণ্যস্থানে গঙ্গা স্নান করতে পারলে। যে তালিকায় বারাণসীও পড়ছে।
বারাণসী হোক বা অন্য কোনও জায়গা। গঙ্গা যেখান যেখান দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সেখানকার ঘাটগুলিতে গঙ্গাস্নানের পর পোশাক পরিবর্তন এক সমস্যা হয়েই থেকে গেছে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে পোশাক পরিবর্তন তবু খোলা আকাশের নিচে সম্ভব। কিন্তু তা যদি মহিলাদের ক্ষেত্রে হয় তাহলে তা অবশ্যই যথেষ্ট সমস্যার এবং অস্বস্তিকর।
অনেক মহিলাই কুণ্ঠা বোধ করেন এভাবে গঙ্গাপারেই সকলের সামনে ভিজে পোশাক পরিবর্তন করতে। তাঁদের সেই সমস্যা আর সমস্যা থাকছে না বারাণসীতে।
বারাণসীতে গঙ্গার ওপর ভাসমান পোশাক পরিবর্তনের জায়গা প্রায় প্রস্তুত। জুন মাসের শুরু থেকেই তা পুরোদমে চালু হয়ে যাবে। এই ভাসমান জেটির ওপর সারি দিয়ে তৈরি হয়েছে পোশাক পরিবর্তনের ঘর।
সেখানে ১৬টি মহিলাদের এবং ১৬টি পুরুষদের পোশাক পরিবর্তন ঘর তৈরি হয়েছে। বারাণসীর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী যে অর্থ বরাদ্দ করেছেন তার একটি অংশ এই ভাসমান পোশাক পরিবর্তন জেটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে।
৯৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই পোশাক পরিবর্তন ঘরে গঙ্গায় স্নান সেরেই দ্রুত পৌঁছে যাওয়া যাবে। মহিলাদের জন্য যা অবশ্যই অত্যন্ত সুখবর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা