National

টয়লেটে মিলল অনেক কন্ডোম, স্কুলে আসা বন্ধ করল ছাত্রীরা

স্কুলে আসা বন্ধ করে দিল স্কুলে পাঠরত ছাত্রীরা। ওই স্কুলের টয়লেট থেকে উদ্ধার হল অনেক ব্যবহৃত কন্ডোম। স্কুলের এক শিক্ষকের জন্য এখন গোটা স্কুল এক ভয়ের জায়গা।

স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করতে হাজির হয়। বাড়িতে বাবা মায়ের মতই স্কুলে তাদের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। সেই অভিভাবকসম শিক্ষক যখন এমন কিছু করেন যা কোনও পড়ুয়ার জন্য বিভীষিকার মত তাহলে তো স্কুলের গায়েও সেই আঁচ লেগেই যায়।

সেটাই হয়েছে একটি স্কুলে। এখন স্কুলে পাঠরত ছাত্রীরা স্কুলে আসতেই চাইছে না। অভিভাবকরাও যে মেয়েদের পাঠাতে খুব ইচ্ছুক এমনটা নয়।


পুরো ঘটনার জন্য স্কুলের এক কম্পিউটার শিক্ষকের দিকেই আঙুল উঠেছে। অভিযোগ ওই শিক্ষক প্রায় ১৩ জন ছাত্রীকে তাঁর লালসার শিকার করেছে। তাদের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছে।

ওই স্কুলের টয়লেট থেকে অনেকগুলি ব্যবহার করা কন্ডোমও উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনা সামনে আসার পর গ্রামের সকলে স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখান। ওই শিক্ষকের কড়া শাস্তিও দাবি করা হয়। আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন স্বয়ং গ্রাম প্রধানও।


গ্রাম প্রধানের মতে, এই ঘটনা পুরো স্কুলের ভাবমূর্তিতে দাগ ফেলে দিয়েছে। যে ছাত্রীদের সঙ্গে এমনটা ঘটেছে বলে অভিযোগ তাঁদের অভিভাবকরা জানাচ্ছেন তাঁদের মেয়েরা আর কখনওই স্কুলে আসতে চাইছে না। তারা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে তাদের সময় লাগবে।

এদিকে অভিযোগ সামনে আসার পর পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর জেলার দাদরাউল ব্লকের কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে। রাজ্যের ৭৪৬টি কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে আর কোনও পুরুষ শিক্ষক রাখা হবেনা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button