রাতে ছিল, সকালে নেই, পুলিশের সামনে থেকে বেপাত্তা ৩০০ কেজির কামান
এমন কাণ্ড যে ঘটতে পারে তা বোধহয় পুলিশের স্বপ্নের বাইরে ছিল। পুলিশের ঘর থেকেই যে রাতারাতি এমন এক বিশাল ওজনের জিনিস ভ্যানিস হল, এ এক অবশ্যই অবাক করা ঘটনা।
পুলিশেরই জায়গা। সেখানে পুলিশের থাকার মেস রয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে এক সুরক্ষিত স্থান। খোদ পুলিশ সেখানে থাকে। সেদিকে চেয়ে দেখার সাহসও কারও থাকার কথা নয়।
সেই মেসের সামনে বসানো ছিল একটি অতি প্রাচীন কামান। অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে রাখা ছিল সেটি। প্রতিদিন তার পরিচর্যাও হত। মেসের গেটের অন্যতম শোভা ও দৃষ্টিনন্দন সেই কামানের ওজন ৩০০ কেজি।
৩ ফুটের সেই কামান পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে ভ্যানিস হয়ে গেল। কামানটি নিছকই একটি পুরনো কামান ছিলনা, সেটি ছিল একটি হেরিটেজ নিদর্শনও।
রাতে সেই কামান তার জায়গাতেই ছিল। কিন্তু সকালে দেখা যায় কামানটি নেই। চণ্ডীগড়ে পঞ্জাব সশস্ত্র পুলিশের মেসের সামনে থেকে সেই কামান ভ্যানিস হয়ে যাওয়া নিয়ে রীতিমত হইচই শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে ওই কামান তো যেখানে সেখানে রাখা ছিলনা। ছিল পুলিশেরই মেসের দরজায়। অন্যতম সুরক্ষিত স্থানে। সেখান থেকে কীভাবে তা চুরি যেতে পারে।
এটি একটি চুরির ঘটনা। যা নিয়ে চণ্ডীগড় পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। কে বা কারা ওই কামান চুরি করল তা খুঁজে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
এত ভারী কামান এভাবে রাতারাতি কীভাবে সকলের চোখ এড়িয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে মেসের সামনে থেকে কামানটি চুরি হয়েছে সেটি পঞ্জাব সশস্ত্র পুলিশের ৮২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের মেস। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা