ঘড়া ভর্তি মোহরে হোঁচট, রাতের অন্ধকারেই হাতরে বার হল গুপ্তধন
রাতের অন্ধকারে না দেখতে পেয়ে তো কত কিছুতেই হোঁচট লেগে যায়। কিন্তু এমন বহুমূল্য গুপ্তধনে কখনও হোঁচট লাগেনা। এবার সেটাও লাগল।
এক বিখ্যাত মন্দির চত্বরে চলছিল নির্মাণের কাজ। মন্দিরের চারধারে পাঁচিল তোলার কাজ শুরু হয়েছিল। অনেক শ্রমিক কাজ করছিলেন সেখানে। সেখানেই রাতের অন্ধকারে এক শ্রমিক মাটি কাটা অংশ দিয়ে যেতে গিয়ে হোঁচট খান।
কিসে হোঁচট লাগল? ওই শ্রমিকের সন্দেহ হয়। তিনি ভাল করে দেখার চেষ্টা করেন কিসে হোঁচট লাগল। আর তা দেখতে গিয়ে তিনি যা দেখেন তাতে তাঁর ঘুম উড়ে যায়। একটি ঘড়ার মাথা দেখতে পান তিনি। যা উঁকি দিচ্ছে পাঁচিল তৈরির জন্য কাটা মাটির খাঁজ থেকে।
দ্রুত মাটি সরিয়ে সেই ঘড়া বার করে আনেন সকলে। ঘড়ার মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় ৪০০টি মোহর। যার ওপর আরবি ভাষায় কিছু খোদাই করা ছিল।
দ্রুত পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ওই মোহরগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের অনুমান এই মোহর মুঘল আমলের। তখন মাটিতে তা পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। তারপর সেই গুপ্তধন মাটির তলাতেই রয়ে গিয়েছিল।
অবশেষে মন্দিরের পাঁচিল তৈরির জন্য মাটি কাটতে গিয়ে তা বেরিয়ে এল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলার হুসেনপুর গ্রামের বিখ্যাত সতী ধাম মন্দিরে।
ঘটনা জানার পর অনেকেই সেই মাটি কাটা অংশ ঘুরে দেখতে হাজির হন। যেখানে ওই গুপ্তধনের ঘড়া উদ্ধার হয়েছিল। প্রসঙ্গত মাটি কাটতে গিয়ে গুপ্তধন পাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও অনেক জায়গায় এমন খবর মিলেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা