প্রকৃতি থেকে রসদ নিয়ে শিল্প সৃষ্টি, অকল্পনীয় শিল্প গড়ে তাক লাগালেন শিল্পী
এই শিল্পীর শিল্পের রসদ দোকান থেকে আসেনা। আসে পাহাড়ের খাঁজ থেকে। তাও আবার একটা পাহাড় নয়। এক অনন্য শিল্প সৃষ্টি করে চমক দিলেন এই শিল্পী।
শিল্পী হতে গেলে সৃজনশীল এক মন দরকার। তারপর তা শুকনো কাঠকেও সজীব করে তুলতে পারে শিল্প ভাবনা দিয়ে। এই শিল্পীও যেন তেমনই কিছু করে ফেললেন।
তাঁর চারধার পাহাড়ে ঘেরা। উপত্যকার সৌন্দর্যে সিক্ত। সেই প্রকৃতির কোলে তিনি আপন মনে ঘুরে বেড়াতেন। হাতে পাথরের টুকরো ধরলে তাঁর মনে হত তিনি যেন প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলেন।
এভাবে ঘুরতে ঘুরতে তিনি পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে নানা পাথরের খোঁজ পেতে থাকেন। তাদের এক এক রূপ, রং। তিনি সেই পাথরগুলি কুড়িয়ে বাড়ি নিয়ে আসতেন। আর তা থেকেই তাঁর মাথায় খেলে গেল সৃষ্টির নতুন মাধ্যম।
তিনি বাড়িতে ওই পাথরগুলি ভেঙে তারপর গুঁড়ো করে ফেললেন। তাতে ধুলো হওয়া সেই পাথরে খেলল সেই পাথরের রং। এবার তিনি বাইন্ডারের সাহায্যে সেই পাথরের নানা রঙের ধুলো মেখে ফেললেন। আর তা থেকে পাথরের গুঁড়োর রং তৈরি হল। যা দিয়ে তিনি ফুটিয়ে তুলতে থাকেন তাঁর নানা সৃষ্টি।
পাথরের গুঁড়ো যে এমন অপরূপ শিল্প সৃষ্টি করতে পারে তা কারও মাথায় আসা স্বাভাবিক নয়। কাশ্মীরের বাসিন্দা মনজুর আহমেদ ভাট কিন্তু আশপাশের পাথরের মধ্যেই খুঁজে পেলেন তাঁর শিল্প সৃষ্টির রসদ।
মনজুরের এই পাথরের গুঁড়োর শিল্প এখন দেশজুড়ে অনেক সম্মান পাচ্ছে। শিল্পের অনুরাগীরা তাঁর এই সৃষ্টিশীল কাজ দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা