৪৮ বছর বয়সে করা অপরাধের জন্য সাজা পেলেন ৯০ বছরের বৃদ্ধ
এই বয়স পর্যন্ত অনেক মানুষ পৌঁছতেই পারেননা। আর যদি পৌঁছতেও পারেন তাহলেও তিনি বার্ধক্যের ভারে জর্জরিত থাকেন। সেই ৯০ বছরে এবার যাবজ্জীবন সাজা পেলেন এক বৃদ্ধ।
৯০ বছর বয়সে বহাল তবিয়তে হেঁটে চলে বেড়াতে পারেন এমন মানুষ সহজে পাওয়া যায়না। অধিকাংশ মানুষই বার্ধক্যের ভারে হয় ওই বয়সে শয্যাশায়ী থাকেন, অথবা অল্প হাঁটাচলা আর ওষুধের ওপর থাকতে হয় তাঁদের। সহজ কথায় জীবনের প্রায় শেষপ্রান্তে পৌঁছে তখন তাঁকেই একটি শিশুর মত দেখাশোনা করতে হয়।
এমন এক মানুষকে এবার কারাদণ্ডের মুখে পড়তে হল। তাও আবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। প্রশ্ন উঠতেই পারে যে ৯০ বছর বয়সে এমন কি অপরাধ তিনি করলেন যে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মুখে পড়তে হল!
অপরাধ অবশ্য এমনই যার জন্য যাবজ্জীবন সাজাও কম মনে হয়। কিন্তু সে অপরাধ তিনি ৯০ বছরে করেননি। করেছিলেন ৪৮ বছর বয়সে। ৪২ বছর পর সেই অপরাধের সাজা পেলেন তিনি।
৪২ বছর আগে ১০ জনের হত্যাকাণ্ডে তিনি যুক্ত ছিলেন। ১৯৮১ সালের সেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদের সাধপুর গ্রামে। সেখানে ১০ জনকে হত্যার ঘটনায় নাম জড়ায় অন্য ১০ জনের। শুরু হয় মামলা।
এরপর সেই মামলা আদালত বদলায়। কিন্তু চলতে থাকে। আর তা এতই ধীরে চলতে থাকে যে তার সাজা ঘোষণা হতে হতে ৪২ বছর কেটে গেল।
১৯৮১ সালের এমন এক জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ১০ জন অভিযুক্তের ৯ জন ততদিনে বৃদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। বেঁচে আছেন কেবল ১ জন।
৪৮ বছর বয়সে করা অপরাধের জন্য এই ৯০ বছর বয়সে এসে সাজা পেলেন বৃদ্ধ। যাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ফিরোজাবাদ জেলা আদালত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা