শ্বশুরবাড়িতে যেতে না চাওয়ায় বাবা মা এমনও করতে পারে বুঝতে পারেননি মেয়ে
সবে বিয়ে হয়েছিল ওই তরুণীর। কিন্তু বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। বাবা মাকে জানান তিনি আর শ্বশুরবাড়ি ফেরত যাবেননা।
বেশ বড় করেই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিল তারা। মেয়ে যাতে সুখে থাকে সে জন্য পাত্রও তারাই খুঁজে দিয়েছিল। বিয়েটা হয় গত ২ মে। তারপর ১ সপ্তাহ শ্বশুরবাড়িতেই কাটান ওই তরুণী। কিন্তু তারপর আচমকাই নিজের বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন।
মেয়ে ফিরে এসে জানিয়ে দেন তিনি আর শ্বশুরবাড়িতে ফেরত যাবেননা। স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির মানুষজনের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ ও অভিমান নিয়ে বাপের বাড়িতে ফিরে আসা ওই তরুণীকে বোঝানো শুরু করে তাঁর বাবা মা এবং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা। কিন্তু তরুণী জানিয়ে দেন তিনি কিছুতেই আর শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যাবেননা।
অভিভাবকরা প্রথমে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করে। একটু মানিয়ে নিতে বলে। কিন্তু মেয়ে রাজি হচ্ছেনা দেখে এক সময় মেজাজ হারায়। সাফ জানিয়ে দেয় পতিগৃহই এখন তাঁর পরিবার, তাঁর বাড়ি। তাই তাঁকে ফিরে যেতেই হবে।
কিন্তু তাতেও মেয়ে রাজি হননি। এরপর মেয়ের ওপর রেগে তাঁকে হত্যা করে তাঁর বাবা মা। শ্বশুরবাড়িতে না যেতে চাওয়ার জন্য তাঁকে যে বাবা মায়ের হাতে জীবন দিতে হবে তা বোধহয় বুঝতে পারেননি মেয়ে।
পুলিশ তরুণীর বাবা মাকে প্রশ্ন করলে তারা প্রথমে জানায় তাদের মেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পর নিখোঁজ হয়ে গেছে। কিন্তু বাবা ও মায়ের বক্তব্যে অসঙ্গতি দেখে পুলিশ বারবার জেরা করা শুরু করে তাদের।
অবশেষে তারা স্বীকার করে স্থানীয় সারদা খালে তারা মেয়েকে হত্যা করে দেহ ভাসিয়ে দিয়েছে। স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা