মিলে গেল বিখ্যাত সিনেমার টানটান দৃশ্য, ভিডিও কলে সন্তান প্রসব করালেন চিকিৎসক
‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমার সেই দৃশ্য নিশ্চয়ই সকলের মনে আছে। যখন আমির খান ভিডিও কলে শুনে অপারেশন করলেন। সেই ঘটনা হুবহু মিলে গেল বাস্তবে।
‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমায় আমির খানকে দেখা গিয়েছিল এক ঝড়জলের রাতে ফোনে চিকিৎসক বান্ধবীর কথা শুনে আর নিজের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজের শ্যালিকার সন্তান প্রসব করাতে সফলভাবে।
সেই টানটান দৃশ্য সকলের চোখের সামনে ভাসে। তবে সকলে এটাও মেনে নিয়েছিলেন যে ওসব সিনেমার পর্দায় সম্ভব, বাস্তবে নয়। কিন্তু সেটাই যেন বাস্তব হয়ে সামনে এসে পড়ল।
এক ২২ বছরের সন্তানসম্ভবা তরুণীর যখন প্রসব যন্ত্রণা ওঠে তখন তাঁকে যে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ দেখছিলেন তিনি শহরের বাইরে। কিন্তু প্রসব যন্ত্রণা যখন উঠেছে তখন তো ব্যবস্থা নিতেই হবে। তাই তরুণীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের নার্সরা সীমা কুমারী নামে ওই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে সব কথা জানান। স্থির হয় ওই চিকিৎসক ভিডিও কলে যেমন ভাবে নির্দেশ দেবেন অপারেশন থিয়েটারে ওই তরুণীর সেভাবেই অপারেশন করবেন এক নার্স।
সেইমত শুরু হয় অপারেশন। ভিডিও কলে নির্দেশ শুনে অপারেশন হয়ে যায়। যমজ সন্তানের জন্ম দেন ওই তরুণী। কিন্তু সিনেমার মত সবকিছু হলেও একটা ফারাক হয়েই যায়।
ওই অপারেশনের পর কিন্তু মালতী নামে ওই তরুণীকে বাঁচানো যায়নি। কাঁচা অনভিজ্ঞ হাতে অপারেশনের ফল ভুগতে হয় তাঁকে। যে নার্স অপারেশন করছিলেন তিনি না বুঝে মালতীর পাকস্থলীর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিরা কেটে ফেলেন। যার জেরে কিছু পরে মৃত্যু হয় মালতীর।
সুস্থ ২ সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখাতে পারলেও চিকিৎসক ও নার্সের হঠকারিতার ফল জীবন দিয়ে ভুগতে হল মালতীকে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পূর্ণিয়া জেলায়।
ওই চিকিৎসক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার পর হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় মৃতার পরিবার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা