বান্ধবীর দেহ টুকরো করে প্রেশারকুকারে সিদ্ধ করে ফেলল লিভ ইন পার্টনার
পুলিশও হতবাক কাণ্ড দেখে। প্রথম সন্দেহ হয় প্রতিবেশিদের। তাঁদের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ যা দেখল তা পুলিশকর্মীদেরও কল্পনার বাইরে।
এমন কয়েকটি কাণ্ড দেশের বুকে ঘটে যায় যা একটি রক্তমাংসের মানুষের পিছনে লুকিয়ে থাকা পিশাচকে সামনে এনে দেয়। ৫৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকেও তেমনই পিশাচ সন্দেহ করছে পুলিশ। যে তার লিভ ইন পার্টনারকেই হত্যা করেছে। শুধু হত্যাই করেনি, টুকরো করে প্রেশারকুকারে সিদ্ধও করে ফেলেছে।
মুম্বইয়ের মীরা রোডের গীতা নগর এলাকায় একটি অ্যাপার্টমেন্টে গত ৩ বছর ধরে বসবাস সরস্বতী বৈদ্য এবং মনোজ সানের। ৩২ বছরের সরস্বতী ৫৬ বছরের প্রৌঢ় মনোজ সানের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। একথা মোটামুটি আশপাশের সকলের জানাও ছিল।
হালে ওই ফ্ল্যাট থেকে একটা দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। সেই দুর্গন্ধ প্রতিবেশিদের নাকেও যায়। টানা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে তাঁরা পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ এসে ওই ফ্ল্যাটে ঢুকে কার্যত হতবাক হয়ে যায়। সেখান থেকে প্যাকেটে ভরা অবস্থায় সরস্বতী বৈদ্য নামে ওই যুবতীর দেহাংশ উদ্ধার হয়।
ভাল করে খতিয়ে দেখতে গিয়ে পুলিশ আরও হতবাক হয়ে যায় এটা দেখে যে প্রেশারকুকারে সরস্বতীর দেহাংশ সিদ্ধও করা হয়েছে।
পুলিশের অনুমান মনোজ সানে তার লিভ ইন পার্টনার যুবতীকে প্রথমে হত্যা করে। তারপর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে। এরপর কয়েকটি টুকরো প্রেশারকুকারে সিদ্ধও করে ফেলে।
এদিকে দেহের বাকি টুকরো থেকে পচা গন্ধ বার হতে থাকে। যা প্রতিবেশিদের নাকে পৌঁছয়। যদিও মনোজ সানে পুলিশের কাছে দাবি করেছে যে সরস্বতীকে সে হত্যা করেনি, সরস্বতী আত্মঘাতী হয়েছিলেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা