স্কুলে সঠিক সময়েই পৌঁছে দিয়েছিলেন বাবা। ঘড়ি ধরে সকাল সাড়ে সাতটায়। পুলিশ জানিয়েছে, গুরুগ্রামের ভোন্দসির রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ওই ছাত্র স্কুলে পৌঁছনোর কিছুক্ষণ পর টয়লেটে যায়। সকাল ৮টা নাগাদ স্কুলের অন্য কিছু ছাত্র দেখে ৮ বছরের ওই বালক হামাগুড়ি দিয়ে বাঁচার লড়াই করছে। তার আশপাশ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। গলা কাটা। আতঙ্কিত ছাত্ররা শিক্ষকদের খবর দেয়। স্কুলের তরফে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। অন্যদিকে ছাত্রের বাবা বাড়িতে ফিরেই স্কুল থেকে ফোন পান। তিনিও স্কুলে ছোটেন।
ছাত্রটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। টয়লেট থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রের দেহে আঘাতের চিহ্নও ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। ছাত্রের দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় স্কুলের পড়ুয়া থেকে অভিভাবক সকলের মধ্যেই আতঙ্ক দানা বেঁধেছে।