অর্ধেক দিনের জীবন থেকে মুক্তি, ৭৫ বছর পর নতুন আলো দেখল ৪ হাজার পরিবার
৪ হাজার পরিবারের জন্য এ যেন এক বিপ্লব। ভারতের আর কারও কিছু যায় না আসলেও এই ৪ হাজার পরিবারের রাত কাটছে উৎসবের আনন্দে।
একবিংশ শতাব্দীর ভারত এখন অনেক উন্নত। কিন্তু সেই উন্নতির আঁচ কি সর্বত্রগামী? আদৌ কি দেশের সব মানুষ এই উন্নতির স্পর্শ পান? বোধহয় পান না। যেমন এই পার্চেলি গ্রামের বাসিন্দারা।
একে তো এই গ্রাম অত্যন্ত প্রত্যন্ত এলাকায়। জঙ্গলে ঘেরা। তায় আবার মাওবাদীদের স্বর্গরাজ্য হিসাবে চারধার বিখ্যাত। সব মিলিয়ে গ্রামের মানুষজনের জন্য জীবনটা কার্যত অর্ধেক দিনের ছিল।
ভোরের আলো ফুটলেই গোটা গ্রাম লেগে পড়ত কাজে। সারাদিন কাজ সেরে সন্ধে নামার আগেই সকলে ঘরে ঢুকে পড়তেন। রাতের অন্ধকারে দরজার বাইরের জীবন সম্বন্ধে প্রায় কোনও ধারনাই এই গ্রামের মানুষগুলোর নেই।
গত ৭৫ বছর ধরেই নেই। তাঁরা থাকতেন নিকষ অন্ধকারেই। শুধু রাতের অন্ধকারে আলোর সামান্য প্রয়োজন মেটাতে ভরসা ছিল লণ্ঠন আর প্রদীপ।
এভাবেই ৭৫ বছর কাটানোর পর অবশেষে ছত্তিসগড়ের দান্তেওয়াড়া জেলার এই পার্চেলি গ্রামে বিদ্যুৎ এল। জেলা প্রশাসনের টনক এতদিনে নড়ল। এ গ্রাম ১০০ শতাংশ বিদ্যুতে সমৃদ্ধ হল।
রাতের অন্ধকারকে পরাজিত করে তাঁদের ঘর বা আশপাশ যে এমন অচেনা আলোয় আলোকিত কখনও হবে সে আশাও করেননি গ্রামের ৪ হাজার বাসিন্দা। তাই এই নতুন আলো তাঁদের কাছে ম্যাজিকের চেয়ে কম কিছু নয়।
ভারত স্বাধীন হলেও এ গ্রামের মানুষের আলোকময় রাতের স্বাধীনতা যেন এবারই ধরা দিল। আপাতত বিদ্যুতের আলোর স্পর্শই উৎসবের মেজাজে তারিয়ে উপভোগ করছেন সকলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা