National

মোমো খাওয়ার সময় মৃত জামাইবাবুকে হাতেনাতে পাকড়াও করলেন শ্যালক

এ কাহিনি যে কোনও গল্প উপন্যাসকেও ছাপিয়ে যেতে পারে। এমনই তার ঘটনা প্রবাহ। সেই টানটান কাহিনি এবার সামনে এল সকলের।

শ্বশুরবাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন জামাইবাবু। সময়টা ছিল চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি। সেই অনুষ্ঠান থেকে আচমকা গায়েব হয়ে যান তিনি।

বিষয়টি নিয়ে জল ঘোলা শুরু হয়। জামাইয়ের পরিবার তাঁদের বাড়ির ছেলেকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করে। তাঁদের অভিযোগের আঙুল ছিল ছেলের শ্বশুরবাড়ির দিকে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে ওই হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির শ্যালক পুলিশে জামাইবাবু নিখোঁজ বলে ডায়েরি করেন।


এরপর কেটে গেছে এতগুলো মাস। কিছুদিন আগে ওই শ্যালক রবি শঙ্কর গিয়েছিলেন নয়ডায়। সেখানে তিনি একটি দোকানে খাওয়ার সময় এক দাড়ি গোঁফে ভরা মুখের মলিন পোশাকে মোড়া ব্যক্তির পিছনে দোকানদারকে তাড়া করতে দেখেন।

ওই ব্যক্তি জানান তাঁর খিদে পেয়েছে। রবি শঙ্করের খারাপ লাগে। তিনি দোকানদারকে বলেন এক প্লেট মোমো যেন ওই ব্যক্তিকে দেওয়া হয়। দাম তিনি দিয়ে দেবেন।


ওই ব্যক্তি খাওয়া শুরু করলে রবি শঙ্কর ওই ব্যক্তিকে তাঁর নাম জিজ্ঞেস করেন। ভিখারির চেহারার ওই মানুষটি জানান তাঁর নাম নিশান্ত কুমার। বাবার নাম সচ্চিদানন্দ সিং। বাড়ি বিহারের ভাগলপুরের ধ্রুবগঞ্জে।

একথা শোনার পর কার্যত মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে রবি শঙ্করের। এতো তাঁরই হারিয়ে যাওয়া জামাইবাবু! যাঁকে পরিবারের সকলে মৃত বলে মেনে নিয়েছেন!

রবি শঙ্কর দ্রুত পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে। তারপর তাঁর নিখোঁজ হওয়ার বিস্তারিত তথ্য খতিয়ে দেখে। কিন্তু এত মাস নিশান্ত কুমার ছিলেন কোথায়? এলেন কী করে দিল্লিতে? কেনই বা হারিয়ে গিয়েছিলেন? সব কিছুই অন্ধকারে।

বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সেখানেই সবকিছু পরিস্কার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিহারের এই ঘটনা গোটা দেশকে অবাক করেছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button