গাছ কাটার প্রতিবাদ করায় তাঁর গোপনাঙ্গের কিছুটা কেটে নেওয়া হয়েছে, অভিযোগ শুনে হইচই
তাঁরই বাড়ির গাছ তাঁরই সামনে কেটে নেওয়া হচ্ছিল। তারই প্রতিবাদ করায় ২ জন তাঁকে চেপে ধরে তাঁর গোপনাঙ্গের কিছুটা কেটে নিয়েছে। এমনই দাবি করলেন এক ব্যক্তি।
তাঁর বাড়ির সামনে যে জমি রয়েছে সেখানে বেশ কয়েকটি গাছ রয়েছে। তারই একটি গাছ তাঁকে কিছু না বলেই কাটতে শুরু করে ২ জন। এই ২ জনই তথাকথিত উচ্চজাতের মানুষ বলে পরিচিত।
এভাবে তাঁর জমিতে থাকা গাছ কাটার প্রতিবাদ করায় তাঁকে প্রথমে জাতিকেন্দ্রিক কুকথা শোনায় ২ জন। তারপর তাঁকে চেপে ধরে। ১ জন ছুরি বার করে। তারপর তাঁর গোপনাঙ্গের কিছুটা কেটে নেয়।
পুরুষাঙ্গের বেশ কিছুটা অংশ কেটে নেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন সত্যেন্দ্র কুমার নামে ওই ব্যক্তি। সত্যেন্দ্রর দাবি, তাঁর আর্তনাদ শুনে তাঁর ৪ মাসের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ছুটে আসেন। তাঁকেও রেহাই দেয়নি গাছ কাটতে আসা ২ জন বিক্রম সিং ঠাকুর ও ভুরে ঠাকুর। কুড়ুল দিয়ে তাঁর স্ত্রীর গায়ে আঘাত করে তারা।
সত্যেন্দ্রর দাবি, তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানালেও তাতে কান দেয়নি ২ জন। বরং তাঁরা পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে সত্যেন্দ্রর স্ত্রীকে ঘরে ঢুকে মারে তারা।
সত্যেন্দ্রর আরও দাবি, পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করেনি পুলিশ। পরে এক আইনজীবীর সাহায্যে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।
পুলিশ অবশ্য পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার কথা মানতে চায়নি। তাদের মতে ধস্তাধস্তিতে ছাল উঠে গেছে। তার বেশি কিছু নয়। তবে অভিযুক্ত ২ জনকে খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের এটা জেলায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা