সদ্যবিবাহিতা বোনের মূর্তি গড়ে শ্মশানে নিয়ে গিয়ে দাহ করলেন দাদা
বোনের সবে বিয়ে হয়েছে। সেই বোনের একটি মূর্তি তৈরি করে তারপর যাবতীয় রীতি মেনে সেই মূর্তি শ্মশানে নিয়ে গিয়ে দাহ করে এলেন দাদা।
বাবার মৃত্যুর পর দাদা হিসাবে তিনিই সংসারের হাল ধরেছিলেন। ছোট ২ বোনকে বড়ও করে তোলেন। তারপর ১ বোনের বিয়েও দেন। দ্বিতীয় বোনের বিয়েও স্থির করেছিলেন।
গত ১১ জুন ছিল বিয়ে। বিয়ের সব প্রস্তুতিও সারা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিয়ের ঠিক আগের দিন তাঁর বোন বাড়ি থেকে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান। পরদিন মন্দিরে তাঁরা বিয়েও করেন।
খবরটা দাদার কানে পৌঁছয়। যে পাত্রের সঙ্গে বিয়ে স্থির হয়েছিল তাঁর পরিবারের তরফ থেকে যথেষ্ট লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয় দাদাকে। রাগে ক্ষোভে তিনি পুলিশে গিয়ে বোনের প্রেমিকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন।
কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা গ্রহণের আগেই সেই সদ্যবিবাহিতা বোন নিজে হাজির হন থানায়। জানান তাঁকে কেউ অপহরণ করেনি। তিনি নিজের ইচ্ছায় বাড়ি ছাড়েন।
আরও জানান তিনি প্রাপ্তবয়স্কা এবং তিনি যাঁকে বিয়ে করেছেন তাঁকে স্বদিচ্ছায় বিয়ে করেছেন। পুলিশের তরফ থেকে এরপর আর কিছু করার ছিলনা।
এদিকে সামাজিক দিক থেকে প্রবল লাঞ্ছনার শিকার দাদা বিহারী গুপ্তা পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এটা মনস্থির করেন যে ওই বোন তাঁদের কাছে মৃত।
বিহারী বোনের একটি খড় দিয়ে মূর্তি বানান। সেই মূর্তিকে মৃতের খাটে শুইয়ে দেন। খাটে বোনের একটি ছবিও রাখেন। তারপর সেই মূর্তি শোয়ানো খাট গ্রাম পরিক্রমা করিয়ে নিয়ে হাজির হন স্থানীয় শ্মশানে। সেখানেই বোনের মূর্তির দাহকার্য রীতি মেনেই করেন বিহারী। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পূর্ণিয়া জেলায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা