বিকেলে ছাদে বেড়ানোর সময় ঝাঁপিয়ে পড়ল একদল বাঁদর, বাকিটা মর্মান্তিক
বিকেলে অনেকেই তো ছাদে ঘুরে বেড়ান। প্রৌঢ় মানুষটি বিকেলের আলো গায়ে মেখে ছাদে একটু বেড়াচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একদল বাঁদর।
বোনের সঙ্গে অনেকদিন দেখা সাক্ষাৎ হয়নি। কেমন আছেন তিনি তা জানতে দাদা হাজির হয়েছিলেন বোনের বাড়ি। বাড়ির ছাদটি বিকেলে ঘোরার জন্য বেশ। তাই ওই ৫৪ বছরের প্রৌঢ় ব্যক্তি স্থির করেন তিনি বিকেলে একটু ছাদে বেড়াবেন।
ছাদে নিজের মত ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকাই কোথা থেকে সেখানে এক এক করে জমা হয় বেশ কয়েকটি বাঁদর। তারপর হঠাৎই ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই ব্যক্তির ওপর।
বাঁদরের এই হানার জন্য তৈরি ছিলেননা তিনি। ফলে প্রাথমিকভাবে ভয় পেয়ে যান। নিজেকে বাঁদরদের হাত থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করেন। এই করতে করতে কখন যে তিনি ছাদের ধারে চলে গেছেন বুঝতে পারেননি। বাঁদরদের হঠাতে হঠাতে তিনি ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান।
উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁ জেলার আমরোলি গ্রামে ঘটা এই ঘটনার পর দ্রুত আহত কালীচরণকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বরেলির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৭ দিন যমে মানুষে টানাটানির পর তাঁর মৃত্যু হয়।
বাঁদরের হানায় এভাবে কালীচরণের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের কেউই। মানতে পারছেন না ওই গ্রামের বাসিন্দারাও। তাঁদের দাবি, বাঁদরের আক্রমণ কোনও নতুন ঘটনা তাঁদের কাছে নয়। নানা ভাবে গ্রামের মানুষকে আহত করা, তাঁদের ক্ষতি করা চালিয়ে যাচ্ছে বাঁদরেরা।
স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোও হয়েছে। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। প্রশাসনের এই নির্বিকার ভাব এবার এক মানুষের মৃত্যুরও কারণ হল।
এই এলাকা জুড়ে বাঁদরদের দাপাদাপি গতবছর থেকেই চলছে। গত বছর এক ৪ মাসের শিশুকে বরেলি এলাকায় বাঁদররা ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে উঁচু থেকে ফেলে দেয়। তাতে ওই শিশুর মৃত্যু হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা