ভাল্লুকের সঙ্গে খালি হাতে লড়াই করে নজির গড়লেন বৃদ্ধ
অতিকায় এক ভাল্লুকের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা শক্তিশালী যুবকেরও থাকেনা। সেখানে এক ৭০ বছরের বৃদ্ধ যা করলেন তা এখন মুখে মুখে ঘুরছে।
ঘন জঙ্গলের পাশেই বসবাস। প্রয়োজনে জঙ্গলের মধ্যে দিয়েই যাতায়াত। সেভাবেই ওই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন ওই ৭০ বছরের বৃদ্ধ। গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই কিন্তু তিনি বিপদে পড়লেন।
জঙ্গলে যে ভয় সবচেয়ে বেশি সেই বাঘ ভাল্লুকের মুখেই পড়তে হল তাঁকে। এক্ষেত্রে অবশ্য বাঘ নয়, ভাল্লুক। যাকে বলে ওয়াইল্ড বেয়ার বা জঙ্গলের অতিকায় চেহারার ভাল্লুক।
ভাল্লুকটি ওই বৃদ্ধের ওপর আচমকাই ঝাঁপিয়ে পড়ে। ওই বিশাল চেহারার ভাল্লুক যদি এক বৃদ্ধের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাহলে তাঁর রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। আশপাশেও কেউ কোথাও নেই। কেবল ঘন জঙ্গল। সেখানে তাই বাঁচার জন্য যা করার নিজেকেই করতে হবে।
ভাল্লুকটি ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রথমেই ওই বৃদ্ধের একটি চোখের ওপর হামলা করে। একটি চোখ খুবলে বার করে নেয়। অন্য চোখটিতেও বড় আঘাত লাগে। রক্ত ঝরতে থাকে ক্রমাগত।
ওই অবস্থার পরও কিন্তু বৃদ্ধ দমে যাননি। বরং প্রবল সাহসিকতাকে হাতিয়ার করে ভাল্লুকের সঙ্গে লড়াই করে যান। একটা সময় বরং ভাল্লুকটিই তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। পালিয়ে যায় জঙ্গলের মধ্যে।
এদিকে বৃদ্ধের তখন চোখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। দেহেও নানা আঘাত। সেই অবস্থাতেই তিনি হাঁটতে শুরু করেন গন্তব্যের দিকে। ২ কিলোমিটার ওই অবস্থায় পাড়ি দেন তিনি।
বৃদ্ধকে চোখে পড়ার পর অবশ্য স্থানীয়রা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর চিকিৎসা চলছে। কর্ণাটকের উত্তর কন্নড় জেলার রামনগর থেকে হেঁটে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে বৃদ্ধ ভিট্টু সালাকে হেঁটে যাচ্ছিলেন টিম্বোলি গ্রামের দিকে। মাঝে জঙ্গলে এই ঘটনা ঘটে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা