আজব কাণ্ড, ছিল হিরের টুকরো, হয়ে গেল গুটখা
এ যেন ভোজবাজির খেলা। ছিল অনেক হিরের টুকরো। কিন্তু তা হয়ে গেল গুটখার প্যাকেট। দেখে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার জোগাড় হল হিরে ব্যবসায়ীর।
আলাপ হওয়ার পর তাঁদের মধ্যে সম্পর্কটা শক্তপোক্ত হতে বেশি সময় নেয়নি। একজন হিরে ব্যবসায়ী। অন্যজন হিরের মিডলম্যান। সহজ বাংলায় দালাল। যাঁরা অন্য ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে এক ব্যবসায়ীর হিরে তাঁকে বেচার ব্যবস্থা করে দেন। অন্য ব্যবসায়ীর বেচার বন্দোবস্তও করে দেন।
এভাবেই সুরাটের হিরে ব্যবসায়ী ঋষভ ভোরা বিশ্বাস করতে শুরু করেন রাহিল মঞ্জানিকে। রাহিল তার কথাবার্তা দিয়ে এমনভাবে ঋষভকে মুগ্ধ করে ফেলে যে ঋষভ তাকে একটি ৩২ লক্ষ টাকার হিরে বেচার কাজ দেন।
ঋষভের কাছ থেকে হিরেগুলি নিয়ে সেগুলিকে ৩টি প্যাকেটে প্যাক করে ফেলে রাহিল। তারপর ঋষভের হাতে আগাম ২ লক্ষ টাকা তুলে দেয়। এতে ঋষভের বিশ্বাস আরও বেড়ে যায়।
কিন্তু সেই যে হিরে নিয়ে রাহিল গেল তারপর থেকে তার কাছে বারবার চেয়েও আর ১ টাকাও উদ্ধার হয়নি। একসময় ঋষভ রাহিলকে জানিয়ে দেন তিনি তাঁর হিরে ফেরত চান।
অনেক বলার পর অবশেষে সেই ৩টি প্যাকেট নিয়ে রাহিল হাজির হয়। স্থির হয় রাহিলকে সামনে রেখেই এই ৩টি প্যাকেট খুলে হিরে মিলিয়ে ফেরত নেওয়া হবে।
প্যাকেট খোলা হয়। আর তা খোলার পরই প্রায় হার্ট অ্যাটাক হওয়ার জোগাড় হয় ঋষভের। দেখা যায় হিরে নয় প্যাকেটে ভরা রয়েছে গুটখার প্যাকেট।
যা দেখার পর ঋষভের বুঝতে অসুবিধা হয়নি রাহিল মঞ্জানি তাঁকে ঠকিয়েছে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ রাহিল মঞ্জানির বিরুদ্ধে ২টি ধারায় মামলা রুজু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা