বাড়িতে ঢুকে জমিয়ে পিকনিক, তাদের নিয়ে বস্তাপচা ধারনা মুছে ফেলল চোরেরা
চোরেরা লুকিয়ে বাড়িতে ঢুকবে। তারপর দ্রুত সব জিনিসপত্র হাতিয়ে পালাবে। যাতে তাদের কেউ দেখতে না পায়। কিন্তু এ চোররা সেই পুরনো ভাবনা মানে না।
চোর মানেই তো রাতের অন্ধকারে যখন সকলে ঘুমে কাদা, তখন ঘাপটি দিয়ে গৃহস্থের বাড়িতে প্রবেশ করবে। তারপর পা টিপেটিপে গিয়ে যা মূল্যবান কিছু পাবে তা চুরি করে ফের যে পথে এসেছিল সেই পথে গা ঢাকা দেবে। পুরোটাই যত দ্রুত সম্ভব করার চেষ্টা করে চোরেরা।
চোর সম্বন্ধে এমন এক চিরন্তন ভাবনা যে মুছে ফেলার দিন এসেছে তা কয়েকজন চোরের কীর্তি প্রমাণ করে দিল। চোরেরাও যে তাদের সম্বন্ধে পুরনো ধ্যান ধারনা মুছে ফেলতে চাইছে, নতুন করে ভাবছে, তা একটি ঘটনা প্রমাণ করে দিল।
চোরদের কাছে খবর ছিল যে পাশাপাশি ২টি বাড়ি ফাঁকা থাকবে। গৃহস্থ ফিরবেন পরদিন। তাই ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে পরে তারা। কেউ তাদের দেখতেও পায়নি কখন তারা ঢুকেছে ২ বাড়িতে।
এরপর ফাঁকা বাড়িতে যা ছিল তা চুরি করে তাদের পালানোটাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তা না করে তারা ২টি বাড়ির একটিতে পিকনিক শুরু করে দেয়। বাড়িতে জমিয়ে হয় রান্নাবান্না। তারপর সেই রান্না করা খাবার পেট ভরে খেয়ে পিকনিক সম্পূর্ণ করে তারা।
জমিয়ে পিকনিক করার পর এবার তারা চুরিতে হাত দেয়। ২টি বাড়ি মিলিয়ে খোয়া যায় নগদ টাকা এবং অলংকার মিলিয়ে ১৫ লক্ষ টাকা।
ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুজফ্ফরপুরে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে এসে অনেক খাবার পায়। রান্নাবান্না যে করা হয়েছে তা বুঝতেও সময় লাগেনি।
সব দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান প্রথমে রান্নাবান্না করে খাওয়াদাওয়া সেরে তারপর চুরি করে পালায় চোরেরা। তাদের খোঁজে তল্লাশিতে নামে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা