National

গুরুগ্রামে ছাত্র খুনে গ্রেফতার বাস কন্ডাক্টর, কন্ডাক্টর দোষী নয়, দাবি অভিভাবকদের

গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্নকে গত শুক্রবার সকালে স্কুল শুরুর পর টয়লেটে গলা কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। যে ছুরি দিয়ে তার গলা কাটা হয় তাও উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ছাত্রটিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপরই স্কুলের গাফিলতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।

এদিকে পুলিশ তদন্ত শুরু করার পর বিকেলেই গ্রেফতার হয় স্কুল বাসের কন্ডাক্টর অশোক কুমার। পুলিশের কাছে সে নাকি স্বীকারও করেছে তার মাথার ঠিক ছিল না। যৌন হেনস্থা করতে গিয়েই গলা কেটে প্রদ্যুম্নকে খুন করে সে। পুলিশ তাকে এদিন আদালতে পেশ করে। অশোকের ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও কন্ডাক্টর দোষ কবুল করলেও তা সত্যি বলে মানতে নারাজ ছাত্রের পরিবার থেকে অন্যান্য অভিভাবক সকলেই। তাঁদের দাবি, বড় কিছু লুকোনোর চেষ্টা চলছে। তাই কন্ডাক্টরকে ঘুঁটি করে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তের দাবিও তুলেছেন তাঁরা।


এদিকে ঘটনার পর থেকেই ছাত্রের পরিবার থেকে অভিভাবকরা যাঁর দিকে আঙুল তুলছিলেন রায়ান ইন্টারন্যাশনালের সেই প্রিন্সিপালকে এদিন সাসপেন্ড করা হয়েছে। যদিও তাতে অভিভাবকদের ক্ষোভে জল ঢালা যায়নি। এদিন সকাল থেকেই স্কুলের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন তাঁরা। মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, পুরো বিষয়ে পুলিশ ও সিবিএসই বোর্ডের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। দোষী শাস্তি পাবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। পাশাপাশি স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে আগামী দিনে কী নির্দিষ্ট ব্যবস্থা স্কুলে রাখা হবে, সে বিষয়েও মন্ত্রক ভাবনা চিন্তা করছে বলে এদিন জানান মন্ত্রী।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button