গরমের ছুটির পর আরও ছুটি চাই, পুলিশকেও ঘোল খাইয়ে দিল ছাত্র
পুলিশকে পর্যন্ত অন্য পথে চালিত করল এক ছাত্র। এমনভাবেই পুরো নাটকটা সাজাল এক ছাত্র। গরমের ছুটির পর আরও ছুটি পেতেই তার এই কাণ্ড।
তারা ২ ভাই। ২ ভাই একই স্কুলে পড়ে। একজন পড়ে অষ্টম শ্রেণিতে। আর তার ভাই সপ্তম শ্রেণিতে। গরমের ছুটির পর সবে স্কুল খুলেছে। সকালে ২ ভাই স্কুলে গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু স্কুলের শেষে ছোটভাই বাড়ি ফিরে জানায় দাদাকে বেশ কয়েকজন অচেনা লোক তুলে নিয়ে গেছে।
পরিবার বুঝতে পারে বড় ছেলে কিডন্যাপ হয়েছে। অপহৃত ছেলেকে ফিরে পেতে পরিবার দ্রুত পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করে।
প্রথমেই তারা যেখান থেকে অপহৃত হয়েছে ওই স্কুল ছাত্র সেই জায়গায় পৌঁছয়। অপহৃতের ছোট ভাই দেখিয়ে দেয় জায়গাটা। সেখানে পৌঁছে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ।
সেই সঙ্গে ওই জায়গায় থাকা দোকানদারদের সঙ্গেও কথা বলে। কিন্তু কোনও সূত্রই তদন্তকারী আধিকারিকরা খুঁজে পাননি। এরপর তাঁরা ছোট ভাইকে জিজ্ঞাসা শুরু করেন।
ঠিক কি হয়েছিল তা জানতে চাওয়ায় সে জানায় পুরো ঘটনাটাই ঘটে সে যখন বাথরুমে ছিল তখন। তাই সে ঘটনাটা দেখেনি। এখানেই সে মুশকিলে পড়ে যায়।
পুলিশ তাকে পাল্টা প্রশ্ন করে সে যদি কিছু নাই দেখে থাকে তাহলে সে জানল কীভাবে যে তার দাদাকে অপহরণ করা হয়েছে? সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্র এরপর আর কিছু চাপার চেষ্টা করেনি। সে জানায় তার দাদাই তাকে বলেছিল অপহরণের কথা বাড়িতে গিয়ে বলতে।
পুলিশ স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখে যে ওই ছাত্র তার এক বন্ধুকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকির ওই স্কুল থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বাস ধরে অযোধ্যা পাড়ি দেয়। পুলিশ ওই ছাত্র ও তার বন্ধুকে অযোধ্যা থেকে উদ্ধার করে।
পুরো নাটকে যবনিকা পতন হয় ১০ ঘণ্টার মধ্যে। ওই ছাত্র পুলিশকে জানিয়েছে গরমের ছুটিতে করা আনন্দ সে ভুলতে পারছিলনা। তাই গরমের ছুটি শেষ এটা সে মেনে নিতে পারছিলনা। আরও কটা দিন ছুটি উপভোগ করতে সে এই অপহরণের ছক সাজিয়েছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা