ধর্ষক বাবা গুরমিত রাম রহিমের সিরসার ডেরায় যতই তল্লাশি হচ্ছে, ততই চমকপ্রদ বিষয় সামনে আসছে। দ্বিতীয় দিনের তল্লাশিতে সকালে পুলিশ ডেরার মধ্যে একটি কারখানার হদিস পায়। যেখানে প্রচুর বাজি তৈরির মশলা মজুত ছিল। কিন্তু এই কারখানা বা বাজি তৈরির কোনও লাইসেন্স ছিল না। এছাড়া তদন্তকারীরা এদিন ডেরায় ২টি সুড়ঙ্গের হদিশ পেয়েছেন। একটি সুড়ঙ্গ যুক্ত করেছে রাম রহিমের ব্যক্তিগত আবাসস্থল ও মহিলা হস্টেলকে।
রাম রহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ডেরায় আসা মহিলাদের অনেকের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করত রাম রহিম। আধ্যাত্মিকতার নামে তাদের ওপর যৌন নির্যাতনও চলত। এই সুড়ঙ্গ সেই অভিযোগকেই অনেকটা প্রমাণ করছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীদের একাংশ।
অন্যদিকে আরও একটি সুড়ঙ্গ পথের খোঁজ মিলেছে। সুড়ঙ্গটি মেঠো পথ। যা ডেরা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে এক জায়গায় বেরিয়েছে। তদন্তকারীদের ধারণা এই সুড়ঙ্গ কাটা হয়েছিল পালানোর জন্য।
এদিনও তল্লাশির পুঙ্খানুপুঙ্খ ছবি ভিডিওগ্রাফি করা হয়। ডেরা থেকে অনেক প্লাস্টিকের কয়েন উদ্ধার হয়েছে। মাত্র ২ ঘণ্টার তল্লাশিতেই তদন্তকারীদের চোখ কপালে উঠেছে।