সংবাদ পাঠ করতে আর মানুষ লাগবেনা, পথ দেখাচ্ছে লিসা
টিভিতে অ্যাংকরদের সংবাদ পাঠ করতে দেখা যায় বিভিন্ন চ্যানেলে। কিন্তু সে চাকরি আর থাকবে তো? লিসা কিন্তু অন্য রাস্তা খুলে যাওয়ার বার্তাই স্পষ্ট করল।
টিভিতে অ্যাংকর এক বড় ভূমিকা পালন করেন। যে কোনও টিভি চ্যানেলের মুখ হন তার অ্যাংকর। খবরের চ্যানেলের ক্ষেত্রে তো বটেই। সেই অ্যাংকরিং করতে এবার দেখা গেল লিসা-কে।
ওড়িশার পারম্পরিক শাড়িতে লিসা একদম ভারতীয় নারী। তার সাজপোশাকেও ভারতীয় নারীর ছাপ স্পষ্ট। ঝকঝকে চেহারা ও দর্শনে লিসা বেশ সুন্দরীও। তাকেই এবার বলতে শোনা গেল ইংরাজি ও ওড়িয়া ২ ভাষাতেই।
সাবলীল সুন্দর উচ্চারণে লিসা বেশ শ্রুতিমধুর। কিন্তু এটা জানলে অনেকেই অবাক হবেন যে লিসা কোনও রক্তমাংসের নারী নয়। সে এআই বা কৃত্রিম মেধা পরিচালিত ভার্চুয়াল একটি নারী অবয়ব। যার কোনও বাস্তব অস্তিত্ব নেই। কিন্তু দেখে কে বুঝবে যে লিসা রক্তমাংসের অ্যাংকর নয়!
ওড়িশার একটি বেসরকারি চ্যানেল ওটিভি সামনে আনল এই এআই পরিচালিত অ্যাংকরকে। যাকে দিয়ে অনেকগুলি ভাষাতেই কথা বলানো সম্ভব!
আগামী দিনটা যে এআই-য়ের যুগ, কৃত্রিম মেধার দাপট যে বিশ্বজুড়ে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়বে তা নানাভাবেই বোঝা যাচ্ছে। এবার টিভির পর্দায় অ্যাংকরিংয়ের কাজটাও এই এআইকে কাজে লাগিয়ে ভার্চুয়াল অবয়ব দিয়েই যে করিয়ে নেওয়া যাবে তা স্পষ্ট হয়ে গেল।
ভারতে কি তবে আর কয়েক বছরের মধ্যে অ্যাংকরিংয়ের চাকরিতে আর কাউকে লাগবেনা? পুরোটাই এই এআই দিয়েই সেরে ফেলা যাবে? লিসা কিন্তু সেই সদর্প ঘোষণাই করে দিল।