National

হেডস্যারের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে ফেরাতে কাঁদতে বাকি রাখলেন স্বামী

তাঁর স্ত্রী নাকি স্কুলের হেডস্যারের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। এখন পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে ঘরে ফেরাতে মরিয়া চেষ্টা শুরু করলেন স্বামী।

২০১০ সালে তখন তাঁর স্ত্রী দশম শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছেন। সেইসময় তাঁরা ভালবেসে বিয়ে করেন। স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়ির কারও এ বিয়ে নিয়ে অমত ছিলনা। তাই কোনও সমস্যাও হয়নি। বরং তাঁর স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি আসার পর জানান তিনি আরও পড়াশোনা করতে চান।

স্ত্রীর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে তিনি তাঁদের পারিবারিক জমির কিছুটা বেচে দেন। এমনকি আরও টাকার দরকার পড়লে ধারও করেন। কিন্তু স্ত্রীর পড়াশোনা বন্ধ হতে দেননি।


এমনই পুলিশের কাছে দাবি করেছেন বিহারের বৈশালী জেলার মাহিপুর গ্রামের বাসিন্দা চন্দন কুমার। তিনি জানান, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর স্ত্রী একটি স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পান।

বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে সমস্তিপুর জেলার শাহপুর পাতোরি প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পান তাঁর স্ত্রী। বাড়ি থেকে যাতায়াত সম্ভব না হওয়ায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন তাঁর স্ত্রী।


সেই ফ্ল্যাটে প্রথমে তাঁদের ১২ বছরের ছেলে ও ৭ বছর বয়সী কন্যাকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন ওই যুবতী। কিন্তু কয়েক মাস পরে তাদেরও সেখান থেকে পাঠিয়ে দেন। ফাঁকা ফ্ল্যাটে তিনি একাই থেকে স্কুলে শিক্ষকতার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন।

চন্দন কুমারের দাবি, তিনি বা পরিবারের কেউ সেই ফ্ল্যাটে যেতে চাইলে বা তিনি ফ্ল্যাটে থাকতে চাইলেও তাঁকে ফ্ল্যাটে যেতে দিতেন না স্ত্রী।

কিছুদিন আগে তাঁর স্ত্রী যে স্কুলে পড়ান সেই স্কুলের হেডস্যার কয়েকজনকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসে তাঁকে শাসিয়ে গেছেন যে তিনি যেন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক না রাখেন।

পুলিশের কাছে চন্দন কুমারের অভিযোগ তাঁর স্ত্রী ওই হেডস্যারের সঙ্গে আলাদা সংসার পেতেছেন। চন্দন এখন স্ত্রীকে ফিরে পেতে মরিয়া। পুলিশের কাছে তাঁর আবেদন তাঁর ২টি সন্তানের মুখ চেয়ে যেন পুলিশ তাঁর স্ত্রীকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে দেয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button