খলনায়ক ইংরাজি, ১৬ নম্বর বিয়েটা আর করা হল না
ইংরাজি ভাষা যে কারও বিচারে ভিলেনও হতে পারে তার এক উদাহরণ হাতেনাতে পাওয়া গেল। যা এক যুবকের ১৬ নম্বর বিয়েটাই আটকে দিল।
বিয়ের ঘটকালি করা কিছু ওয়েবসাইট এখন যথেষ্ট জনপ্রিয়। তেমনই একটি সাইটে বছর ৩৫-এর এক যুবক বিয়ে করতে চেয়ে নিজের নাম তালিকাবদ্ধ করেছিলেন। তা দেখে তাঁর সঙ্গে বিবাহে ইচ্ছুক মহিলারা যোগাযোগ করতেন।
যুবক নিজেকে কখনও ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়ে বিয়ে করতেন। কখনও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বলে বিয়ে করতেন। এমনভাবে একটা একটা করে বিয়ে করে চলেছিলেন ওই যুবক।
২০১৪ সাল থেকে শুরু করে গতবছর পর্যন্ত এভাবে তাঁর জালে জড়িয়েছিলেন ১৫ জন মহিলা। বিয়ের আগে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে একটি ঘর ভাড়া করে সেখানে ডাক্তারি করার ভানও করতেন ওই যুবক। একজন নার্সও রেখেছিলেন সেখানে।
মহিলারা তা দেখে নিশ্চিন্ত হতেন যে তিনি একজন চিকিৎসককেই বিয়ে করছেন। বিয়ের পর ওই মহিলার সঙ্গে বেশ কিছুদিন একসঙ্গে কাটিয়ে তারপর মওকা বুঝে গয়নাগাটি, টাকাকড়ি নিয়ে পালাতেন ওই যুবক।
গতবছর তিনি ১ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তরুণীকে ফের বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। তরুণীরও তাঁকে পছন্দ হয়। ২ জনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়েও স্থির হয়।
এরমধ্যে ওই যুবকের সঙ্গে মেলামেশা করতে গিয়ে একটা সন্দেহ জাগে ওই তরুণীর মনে। তিনি লক্ষ্য করেন ওই যুবক নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিচ্ছেন কিন্তু তাঁর ইংরাজিতে কথা বলার ক্ষমতা অত্যন্ত কম। ভাল করে ইংরাজি বলতে পারেননা তিনি।
তরুণী এরপর সন্দেহের বশেই পুলিশের কাছে হাজির হন। পুলিশকে জানান যে তিনি মনে করেন যে তাঁকে বিয়ে নয়, আসলে জালে জড়ানোর চেষ্টা করছেন ওই যুবক।
পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে ওই যুবকের সব কারসাজির কথা জেনে ফেলে। কারণ আগে যে ১৫ জন মহিলাকে বিয়ে করে ওই যুবক ঠকিয়েছিলেন তার ১ জন আগেই অভিযোগ করেছিলেন পুলিশের কাছে। কর্ণাটকের মাইসুরুর বাসিন্দা মহেশ কেবি নায়ক-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা