বছরে প্রায় ৩০০ দিন ঘুমিয়ে কাটান, এ দেশেই রয়েছেন কুম্ভকর্ণ
বাইরে কোথাও নয়, এ দেশেই রয়েছেন বাস্তবের কুম্ভকর্ণ। যিনি রামায়ণের কুম্ভকর্ণকেও বোধহয় ঘুমের লড়াইয়ে অবলীলায় হারিয়ে দিতে পারেন।
রামায়ণের একটি চরিত্র কুম্ভকর্ণ। রাবণের এই ভাইকে নিয়ে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের একটা বাড়তি আকর্ষণ সব সময়ই ছিল।
কুম্ভকর্ণ যোদ্ধা হিসাবে সকলের মনে বেঁচে নেই, বেঁচে আছেন তাঁর ঘুমের জন্য। কেউ একটু বেশি ঘুমোলে তাঁকে কুম্ভকর্ণ বলে বিদ্রূপও করা হয়।
কিন্তু ভারতেই এমন এক ব্যক্তি রয়েছেন যিনি রামায়ণের কুম্ভকর্ণকে ঘুমের লড়াইয়ে হেলায় হারিয়ে দিতে পারেন। ৪২ বছরের এই ব্যক্তি একবার ঘুমোলে আর রক্ষে নেই। টানা ২২-২৩ দিন ঘুমিয়ে নিতে পারেন তিনি। তারপর হয়তো ঘুম ভাঙল।
বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে প্রায় ৩০০ দিন তাঁর ঘুমিয়েই কেটে যায়। রাজস্থানের নাগৌর জেলার ভাদোয়া গ্রামের বাসিন্দা পুখারাম তাঁর ঘুমের জন্য বিখ্যাত।
শুধু তাঁর এলাকায় নয়, গোটা দেশে, এমনকি দেশের বাইরেও তাঁর নাম অনেকে জেনে ফেলেছেন পুখারামের ম্যারাথন ঘুমের কারণে। তবে পুখারামের এই ঘুম তাঁর জন্য কোনও বিশ্রাম নয়। আদপে এক অসুখ।
অ্যাক্সিস হাইপারসোমনিয়া নামে এক বিরল রোগে আক্রান্ত পুখারাম। যার জেরে তিনি একবার ঘুমোলে দিনের পর দিন ঘুমোতেই থাকেন। বছরের প্রায় সিংহভাগ তাঁর ঘুমিয়েই কেটে যায়।
পুখারামের ঘুম আদপে বেড়ে চলেছে। রোগটি যত দিন যাচ্ছে তাঁকে যেন ঘুম পারিয়ে রাখছে। যা তাঁর স্বাভাবিক জীবন কেড়ে নিয়েছে। এখন ঘুমই তাঁর জীবন। একবার ঘুমোলে ফের কবে ঘুম ভাঙবে তা নিজেও জানেননা পুখারাম।