বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন দিল্লির একটা বড় অংশের মানুষ
দিল্লির একটা বড় অংশের মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পরিবার নিয়ে পালাচ্ছেন। এমন দৃশ্য দিল্লি এর আগে কবে দেখেছে তা কারও মনে নেই।
যেটুকু দরকারি জিনিস সঙ্গে নেওয়া যায় তা নিয়ে বাড়ির মায়া ত্যাগ করে চলে যাচ্ছেন তাঁরা। বাক্স মাথায় করে পরিবারের হাত ধরে পালাচ্ছেন তাঁরা। প্রাণ বাঁচাতে এছাড়া উপায়ই বা কি? জল যে বেড়েই চলেছে।
দিল্লি শহরের একটা বড় অংশ কিন্তু এমন জলে হাবুডুবু খাওয়া এর আগে দেখেনি। দিল্লির বয়স্ক মানুষজন বলছেন শেষ এমন পরিস্থিতি তাঁরা দেখেছিলেন ১৯৭৮ সালে। তারপর ৪৫ বছর কেটে গেছে। এমন অবস্থা তাঁদের দেখতে হয়নি।
কিন্তু ১৯৭৮ সালের ভয়াবহতাকেও ছাপিয়ে গেছে এখনকার যমুনা। যমুনা নদীর জলস্তর এখন যেখানে পৌঁছেছে তা ইতিহাসে কখনও ঘটেনি।
এই প্রথম এমন এক উচ্চতায় উঠল যমুনার জল। চিন্তার কথা হল এখানেই শেষ নয়। জল আরও বাড়ছে। ফলে যমুনার জলস্তর আরও বাড়তে চলেছে।
ইতিমধ্যেই পরিস্থিতির ভয়াবহতার আঁচ গিয়ে পড়েছে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারের ওপর। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
যমুনার জল ১৯৭৮ সালে ২০৯.৪৯ মিটার উঁচুতে পৌঁছেছিল। এবার তা ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে ২০৯.৫৪ মিটারে। যা আরও বাড়ছে।
যমুনার ধার ঘেঁষা দিল্লিতে হুহু করে ঢুকছে যমুনার জল। বহু মানুষ বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। হরিয়ানার হাথনিকুণ্ড ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া বন্ধ না হলে আরও পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে বলে বুঝতে পেরে অবিলম্বে সেখান থেকে জল ছাড়া বন্ধ করার অনুরোধ করেছেন কেজরিওয়াল।
এদিকে উত্তর ভারতের হিমালয় লাগোয়া অঞ্চলে যেভাবে বৃষ্টি চলছে তাতে সব নদীই ফুঁসছে। এই পরিস্থিতিতে বন্যার জল আটকে দিল্লিকে কীভাবে রক্ষা করা যায় তার পথ খুঁজছেন বিশেষজ্ঞেরা। এদিকে যমুনা কিন্তু ফেঁপেই চলেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা