রাতারাতি লাখপতি হওয়ার সুখ কেড়ে নিল একজোড়া চটি
রাতারাতি লাখপতি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই লাখপতি হওয়া বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। লাখপতি হওয়ার সুখ কেড়ে নিল একজোড়া চটি।
একটি শপিং মার্টে কেনাকাটা লাটে উঠল। ম্যানেজার সব কর্মচারিকে আটকে খবর দিলেন পুলিশে। পুলিশ এলে তাদের নিয়ে যাওয়া হল শপিং মলের লকার ঘরে। ম্যানেজার নিজেই দেখালেন কি কাণ্ডটা হয়েছে। তিনি সেদিন ছুটিতে ছিলেন। আর সেদিনই ২২ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা এই লকার থেকে চুরি হয়ে গেছে।
ম্যানেজার বীর শঙ্করের কাছ থেকে সব জেনে পুলিশ ওই শপিং মলের ৩৬ জন কর্মচারিকে জেরা শুরু করে। পরীক্ষা করা শুরু হয় সিসিটিভি ফুটেজের। কর্মচারিদের জিজ্ঞাসা করে এবং সব ছবি খতিয়ে দেখে পুলিশ তেমন কোনও সূত্র খুঁজে পায়নি। পুলিশ এরপর কর্মচারিদের জিজ্ঞাসা করে তাঁরা কাউকে সন্দেহ করছেন কিনা।
তাতে দেখা যায় অধিকাংশ কর্মী আঙুল তুলছেন লকার রুমের ফ্লোর ম্যানেজার দিলীপের দিকে। ম্যানেজার আগেই জানিয়েছিলেন দিলীপের ওপর ম্যানেজমেন্ট সন্তুষ্ট নন। তাই তাঁর চাকরিও যেতে পারে। কর্মীদের মনে হয় সেজন্য দিলীপই এই কাণ্ড করেছেন।
তদন্তকারী আধিকারিকরা কিন্তু এটা ঠিক মানতে পারেননি। তাঁদের একটা খটকা ছিল। তাই সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করায় আরও জোর দেন তাঁরা। তাঁরা লক্ষ্য করেন যেদিন চুরি হয় সেদিন এক মহিলা মলে প্রবেশ করেন। ওই মহিলাকে সন্দেহজনক লাগে তাঁদের। ফলে তাঁর ছবি ভাল করে পরীক্ষা করতে শুরু করেন তাঁরা। আর তখনই লক্ষ্য করেন মহিলার পায়ে পুরুষদের চটি!
পুলিশ আধিকারিকরা কোনও ইঙ্গিত না দিয়ে মলের সকলের পায়ের চটি পরীক্ষা করতে শুরু করেন। চটি মিলেও যায়। দেখা যায় ম্যানেজার বীর শঙ্করের পায়ে রয়েছে ওই চটি জোড়া।
পুলিশ বীরকে জেরা শুরু করে। জেরার মুখে অবশেষে ভেঙে পড়ে বীর স্বীকার করেন তিনিই এই চুরিটা করেছেন। তিনিই আগের দিন শরীর খারাপ বলে পরদিন মলে আসেননি। কিন্তু মাঝে মহিলা সেজে হাজির হন সেখানে।
লখনউ শহরের ওই মলে বীর ৫ বছর কাজ করছেন। ফলে তিনি জানেন কোথায় কি আছে আর কে কখন কোথায় যাবেন। সেইমত লকার রুমের সামনে থেকে দিলীপ উঠে নিচে যেতেই তিনি টুক করে ঢুকে একটি ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে লকার খুলে ২২ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা বার করে একটি বাক্সে ভরে ক্যাশ কাউন্টারে হাজির হন। তারপর মহিলাদের পোশাক কিনে মল থেকে বেরিয়ে যান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা