রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের হত্যাকাণ্ডে স্কুলের ২ শীর্ষ আধিকারিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের ৭৫ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে গ্রুপের রিজিওনাল হেড ফ্রান্সিস থমাস ও এইআর হেড জেয়াস থমাসকে। স্কুলের অভিভাবকদের প্রথম থেকেই অভিযোগ ছিল স্কুলের বিরুদ্ধে। কোনও কিছু চাপা দিতে স্কুল বাসের কন্ডাক্টরের ঘাড়ে সব দোষ চাপানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে সোচ্চার হন তাঁরা। স্কুলের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও চাপ দিতে থাকেন। অভিভাবকদের সেই চাপের মুখেই স্কুলের দুই শীর্ষ আধিকারিককে পুলিশ গ্রেফতার করল বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে গত রবিবার স্কুলের সামনে বিক্ষোভরত অভিভাবকদের সরাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। লাঠিচার্জ করা হয় কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপরও। সেই ঘটনায় ক্ষোভের আগুন আরও জ্বলে ওঠে। এমনিতেই প্রদ্যুম্ন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের একাংশের দিকেও আঙুল তুলছেন অনেক অভিভাবক। তাঁদের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কোনও প্রভাবশালীকে হয়তো বাঁচানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। সেই অভিযোগের পর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনা আগুনে ঘৃতাহুতি দেয়। বেগতিক বুঝে অবশেষে ওই থানার ইনচার্জকে সাসপেন্ড করেছে পুলিশ কমিশনারেট। এদিকে ছেলের মৃত্যুর ঘটনার সত্য উদ্ঘাটনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে প্রদ্যুম্নের পরিবার।