তাঁকে বিশেষ নামে ডাকায় স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ স্ত্রী
তাঁকে তাঁর স্বামী বিশেষ নামে ডেকেছেন। তাঁর দেওরও তাই করেছেন। এটা সহ্য করতে না পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন এক তরুণী।
২০১৯ সালে বেশ ধুমধাম করেই বিয়ে হয়েছিল তাঁর। তারপর ১ বছর নতুন সংসারে ভালই কাটছিল। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে তাঁর মতান্তর শুরু হয় তারপর থেকেই। ২০ বছর বয়সেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তরুণী একটি আলাদা ঘর ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। স্বামী ও শ্বশুরবাড়িকে জানিয়ে দেন তিনি আর ফিরতে চান না। তারপর ৩ বছর কেটে গেছে তিনি ওই ভাড়া ঘরেই বাস করছেন। এর মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের পথে কিন্তু তাঁরা কেউই হাঁটেননি। না স্বামী। আর না স্ত্রী।
এদিকে এর মধ্যেই একদিন নিশা প্রজাপতি নামে ওই ২৩ বছরের তরুণী তাঁর এক বন্ধু রাহুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। যা দেখতে পান তাঁর স্বামী ও দেওর। দেখা মাত্রই তাঁরা আচমকা রাহুলের ওপর চড়াও হন। রাহুলকে মারধর করতে থাকেন।
ছাড় পাননি নিশাও। তাঁকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন নিশা। তাঁর গায়ে হাত তোলার পাশাপাশি তাঁকে বারবার জ্যোতি মৌর্য বলে ডাকেন স্বামী ও দেওর।
প্রসঙ্গত জ্যোতি মৌর্য খবরের শিরোনামে ঘোরাঘুরি করছেন। জ্যোতি মৌর্য বর্তমানে এসডিএম পদে কর্মরত। পেশায় সাফাই কর্মচারি তাঁর স্বামী অলোক মৌর্য অভিযোগ করেন বিয়ের পর তিনি অনেক লড়াই করে জ্যোতিকে পড়ান। জ্যোতিকে প্রয়াগরাজের একটি নামী কোচিংয়েও পড়ান তিনি। কিন্তু যখন স্বামীর প্রচেষ্টায় পড়াশোনা করে জ্যোতি অফিসার হয়ে গেলেন, তখন তিনি স্বামীকে ভুলে গেছেন। তাঁকে ছেড়ে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় ফেলে। কার্যত জ্যোতি মৌর্যের বিরুদ্ধে প্রচুর সমালোচনাও হয়। পরে অবশ্য জ্যোতি ও তাঁর পরিবার পাল্টা দাবি করে অলোক মিথ্যা বলছেন। অলোক বিয়ের সময় তিনি যে একজন সাফাই কর্মচারি তা লুকিয়ে নিজেকে পঞ্চায়েত আধিকারিক পরিচয় দিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের কার্ড তার প্রমাণ।
সেই জ্যোতির নাম করে তাঁকে কার্যত গালি দেওয়া হয়েছে বলেই মনে করছেন নিশা। তাঁর দাবি, তাঁর কোনও পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে কথা বলা অন্যায় নয়। কিন্তু তার প্রেক্ষিতে তাঁকে যেভাবে জ্যোতি মৌর্য বলে ডাকা হয়েছে তাতে তিনি মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জে। পুলিশ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা