এই দেশিয় মদ রাতারাতি পেয়ে গেল আভিজাত্যের সম্মান
গরিব মানুষের স্কচ বলা হত একে। আদপে একটি দিশি মদ। কিন্তু রাতারাতি তা দরিদ্রদের গণ্ডি পার করে পৌঁছে গেল অভিজাত মানুষদের গ্লাসে।
ভারতে দিশি মদের নানা প্রকার রয়েছে। যা সাধারণভাবে দরিদ্র মানুষদের মধ্যে পান করার চল রয়েছে। যদিও যে কোনও মদ্যপানই শরীরের পক্ষে হানিকারক। মদ থেকে দূরে থাকাই সঠিক কাজ। কিন্তু তারপরেও অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা সুরারসিক।
ভারতের দক্ষিণ প্রান্তে কেরালায় তাড়ি নামে এক ধরনের মদ বিক্রি হয়। যাকে মজা করে বলা হয় দরিদ্র মানুষের স্কচ। এই তাড়ি তৈরি হয় নারকেল এবং তাল গাছের ডালের রস থেকে।
নারকেল গাছে সকালে ও বিকেলে মাটির হাঁড়িই পাতা হয়। একটি ডালের অংশ কাটলে তা থেকে যে রস গড়িয়ে পড়ে তা ওই হাঁড়িতে ভর্তি হয়। নারকেল গাছের ক্ষেত্রে একটি ডালের রস সকালে দেড় লিটার ও বিকেলে দেড় লিটার সংগ্রহ করা হয় মাটির হাঁড়িতে।
সেই রসে পচন ধরে দ্রুত। পচন ধরার পর তা তাড়ি হয়ে যায়। যা একধরণের মদ হিসাবে পান করেন স্থানীয় মানুষজন। স্বল্প দামে পাওয়া যায় বলে তাড়িকে গরিব মানুষের স্কচ বলা হয়। অর্ধেক লিটারের দাম পড়ে ৭০ টাকার মত।
এই তাড়ির সাড়ে ৩ হাজার দোকান রয়েছে কেরালায়। সেই তাড়ি এবার অভিজাত মদের তকমা পেয়ে গেল। কেরালা সরকারের একটি নির্দেশে তাড়ি এখন অন্য মাত্রায় পৌঁছে গেছে।
তাড়ি এখন ৩ তারা হোটেলেও পাওয়া যাবে। পর্যটকদের জন্যও তাড়ি পানের ব্যবস্থা রাখা থাকবে। কেরালার পিনারাই বিজয়ন সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাড়ি এবার থেকে একটি ব্র্যান্ড হিসাবে বিক্রি হবে। নাম হবে কেরালা তোডি বা কেরালা তাড়ি।
ফলে আগামী দিনে কেরালার এই দিশি মদ অন্য স্তরে পৌঁছে যাবে। তাল গাছের একটি ডালের রস থেকে যে তাড়ি পাওয়া যায় তা দিনে প্রায় ৪০ লিটার হয়। এটা অনেক বেশি পরিমাণে উৎপাদিত হবে। প্রসঙ্গত তাড়িতে ৮ শতাংশ পর্যন্ত অ্যালকোহল থাকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা