শুধু টমেটো বেচে ৪ কোটি রোজগার, ঘোর কাটছে না কৃষকের
মাত্র ৪৫ দিনে ৪ কোটি! শিল্পপতিরা এটা সহজেই ভাবতে পারেন। কিন্তু একজন কৃষকের পক্ষে কি সেটা ভাবা সম্ভব! এ কাহিনি সেই স্বপ্ন সত্যি করেছে।
চাষ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে ধার করতে হয়েছিল। তা এখন সুদে আসলে প্রায় দেড় কোটি টাকা। সে টাকা কবে যে মিটবে তা বুঝেও উঠতে পারছিলেন না তিনি। ২২ একর জমিটা অবশ্য আছে। তাতে চাষাবাদ করে ধার মেটানোর লড়াই চালাচ্ছিলেন ওই কৃষক।
কৃষিকাজে স্ত্রী তাঁর পাশে থাকেন। সাহায্য করেন। সেই ২২ একর জমিতে মুরলী নামে ওই কৃষক এবার টমেটো ফলিয়েছিলেন। সেই টমেটো স্থানীয় বাজারে তো বটেই, সেই সঙ্গে কর্ণাটকে পাঠিয়ে বিপুল অঙ্কের মুনাফা করতে পেরেছেন মুরলী।
মাত্র ৪৫ দিনে ৪০ হাজার বাক্স টমেটো মুরলী বিক্রি করেছেন। দেশজুড়ে টমেটোর আকাল, চড়া দামে নাজেহাল আম জনতা। সেখানে এই পরিস্থিতিই কার্যত স্বপ্নের অতীত সাফল্য এনে দিল মুরলীর জীবনে। ৪৫ দিনে তিনি রোজগার করলেন ৪ কোটি টাকা!
যা মুরলী কখনও করতে পারবেন বলে ভাবতেও পারেননি। এমনটাই জানিয়েছেন আনন্দের সপ্তম আসমানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলার কারাকামান্ডলা গ্রামের কৃষক মুরলী ও তাঁর পরিবার।
মুরলী এখন চাইছেন এই দেড় মাসে বদলে যাওয়া জীবনে স্বপ্নের প্রাপ্তি ৪ কোটি টাকা থেকে দেড় কোটির ঋণটা আগে মেটাতে। বাকি টাকা তিনি আরও ভল ফলনের কাজে লাগাতে চান।
মুরলী এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না টমেটো বেচে দেড় মাসে ৪ কোটি টাকা তিনি রোজগার করতে পেরেছেন। মুরলীর আগে এই টমেটোর আকালে তেলেঙ্গানার এক কৃষক কেবল টমেটো বেচে ১ মাসে ২ কোটি টাকা রোজগার করেছিলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা