হানিমুনের পথে ট্রেনের টয়লেট থেকে উধাও নববধূ
বিয়ের ৬ মাস পর তাঁরা দার্জিলিংয়ে হানিমুনে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সে হানিমুন আর হল না। মাঝপথে কোথায় যেন হারিয়ে গেলেন নববধূ।
বিয়েটা হয়েছিল ৬ মাস আগে। তারপর সময় সুযোগ না হওয়ায় হানিমুনে আর যাওয়া হয়নি। অবশেষে সময় বার হয়। নবদম্পতি স্থির করেন তাঁরা দার্জিলিংয়ে যাবেন হানিমুন করতে। সেইমত টিকিট কাটা হয়। ট্রেনও চড়ে বসেন ২ জনে।
মাঝে বিহারের কিষণগঞ্জ স্টেশন এলে নববধূ স্বামীকে জানান তিনি টয়লেটে যেতে চান। স্বামী তাঁর সিটেই বসে থাকেন। স্ত্রী যান টয়লেটে। তাঁর স্বামীর দাবি, সেই যে তাঁর স্ত্রী টয়লেটে যান তারপর আর তিনি ফিরে আসেননি।
দেরি হওয়ায় প্রথমে টয়লেট সহ ট্রেনের কামরা তন্নতন্ন করে খুঁজে দেখেন স্বামী। অনেক খুঁজেও না পেয়ে তিনি ফিরে আসেন মুজফ্ফরপুর। পুলিশে খবর দেন।
ওই তরুণীর স্বামী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর অন্য কোনও সম্পর্ক ছিলনা। সেজন্য স্টেশন থেকে তিনি কারও সঙ্গে পালিয়েছেন এমনটা নয়। বরং তাঁর ধারনা স্ত্রী কোনওভাবে ড্রাগ চক্রের লোকজনের হাতে পড়ে গেছেন।
তারাই কিছু একটা করেছে বলে দাবি তরুণীর স্বামীর। পুলিশ তদন্তে নেমে স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করেও কোনও সূত্র খুঁজে পায়নি। তবে তারা খোঁজ চালাচ্ছে।
বিহারের মুজফ্ফরপুরের বাসিন্দা ওই দম্পতি নিউ দিল্লি নিউ জলপাইগুড়ি সুপারফাস্ট ট্রেনের বি৪ কামরায় চড়ে বসেন। সেই ট্রেন কিষণগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছতে সেই স্টেশন থেকে উধাও হয়ে যান কাজল কুমারী নামে ওই তরুণী নববধূ। তাঁর স্বামী মুজফ্ফরপুরের বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা